লোহার খুঁটি পুঁতে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগে সোমবার আনাড়ায় বিক্ষোভ দেখালেন রেলকলোনি-সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। আনাড়ার ঘটনা। এ দিন সকালে রেলের আধিকারিক ও রেলপুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভে আনাড়া রেল কলোনির বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন পাশের জোড়বেড়িয়া, বাগতবাড়ি গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ বন্ধ হয়। তবে লোহার খুঁটি পুঁতে ওই রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি যাতায়াত এ দিন থেকে বন্ধ করে দিয়েছে রেল। আদ্রার ডিআরএম অনশূল গুপ্তার দাবি, ঘটনাটি সম্পর্কে তাঁর বিশদে জানা নেই।
আনাড়া শহরের পুরনো ও নতুন কলোনির মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছে রেললাইন। স্টেশনের সামনেই রেললাইন পার হয়ে এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করেন দুই কলোনির বাসিন্দারা। ওই রাস্তায় চলাচল করেন পাশের কয়েকটি গ্রামেরও মানুষজন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রাধেশ্যাম আনাড়া স্টেশন পরিদর্শন করতে এসে দেখেন ওই রাস্তা দিয়ে রেললাইনের উপরে বড় গাড়ি চলাচল করছে। তার পরেই তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী লোহার খুঁটি পুঁতে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেলের আধিকারিকরা।
সেই মতো এ দিন আদ্রা ডিভিশনের কিছু আধিকারিক রেল ও রাজ্য পুলিশকে সাথে নিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় শতাধিক বাসিন্দা। আনাড়ার বাসিন্দা তথা রেলকর্মী সংগঠনের নেতা সুব্রত দের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তা দিয়ে রেললাইন পার হয়ে যাতায়াত করেন কলোনিগুলির বাসিন্দারা। বহু গ্রামের মানুষও এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। ফলে রাস্তাটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে তাঁদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হবে।’’ এ ছাড়া বড় গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করে দিলে নিউ কলোনি সহ পাশের গ্রামগুলিতে অ্যাম্বুল্যান্স বা দমকলের গাড়িও বিপদের সময় ঢুকতে পারবে না বলে দাবি বাসিন্দাদের। রেলের এক আধিকারিক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাস্তা দিয়ে রেললাইন পার হয়ে বড় গাড়ির যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। তবে বাসিন্দারা সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে আগের মতোই সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy