E-Paper

তৃণমূল নেত্রীকে মারধর, যৌন হেনস্থার অভিযোগ

আক্রান্ত নেত্রীর দাবি, রবিবার বিকেলে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, দলের এক নেতা কয়েকটি কাগজে সই করতে বলেন। তিনি সই করার জন্য এক জায়গায় বসেন। তাঁর অভিযোগ, তখনই দলের অন্য গোষ্ঠীর কয়েক জন এসে ওই নেতার সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর চরিত্র নিয়ে কটূক্তি করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ ০৭:০৮

—প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীকে যৌন হেনস্থা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। বীরভূমের ঘটনা। রবিবার রাতে থানায় জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে ওই নেত্রীর দাবি, তাঁর ওড়না ধরে টানাটানি করা হয়েছে এবং গলায় ওড়না জড়িয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছে। সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে ধরেনি পুলিশ।

এ দিন বিকেলে ওই ব্লকের মহিলা তৃণমূলের কয়েক জন নেতা-কর্মী থানায় গিয়ে দাবি করেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ও এক তৃণমূল নেতার জন্য গ্রামের পরিবেশ ‘নষ্ট’ হচ্ছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এতে ফের সামনে এল, দাবি বিরোধীদের। বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব মেলেনি মোবাইল-বার্তার।

আক্রান্ত নেত্রীর দাবি, রবিবার বিকেলে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, দলের এক নেতা কয়েকটি কাগজে সই করতে বলেন। তিনি সই করার জন্য এক জায়গায় বসেন। তাঁর অভিযোগ, তখনই দলের অন্য গোষ্ঠীর কয়েক জন এসে ওই নেতার সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর চরিত্র নিয়ে কটূক্তি করেন। প্রতিবাদ করায় তাঁকে ও সঙ্গী তৃণমূল নেতাকে মারধর করা হয়। আহত নেতা জেলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী বলেন, “ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে দল করি। তাঁকে এড়িয়ে আমাকে অন্য গোষ্ঠীতে যেতে বলা হয়েছিল। যাইনি। একই কারণে আগেও ভয় দেখানো হয়েছিল। এ বার আমার সঙ্গে এমন কাণ্ড ঘটাল ওই গোষ্ঠীর লোকেরা।” তাঁর বক্তব্য, “আমি সভানেত্রী হওয়া সত্ত্বেও যদি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করি, তা হলে বাকিদের কী ভাবে নিরাপত্তা দেব!” ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতার দাবি, “সব বিষয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করে পার পাওয়ার চেষ্টা করে লাভ নেই। স্থানীয় মানুষ ওই দু’জনের কাণ্ডকারখানায় বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। রাজনীতির সম্পর্ক নেই।”

অভিযোগকারিণী এবং ওই ব্লকের সভাপতি জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কাজল বলেন, “যারা এ কাজ করেছে, তারা তৃণমূলের সদস্য হতে পারে না। তৃণমূল মহিলাদের সম্মান দিতে শেখায়, হেনস্থা করতে শেখায় না। পুলিশে আস্থা আছে। যারা এই অপরাধে যুক্ত, তাদের জেলে থাকা উচিত।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Sexual Harassment TMC TMC panchayat samiti Birbhum

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy