ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় জেতা হয়েছে। সামনে পুরভোট। এমন আবহে দলের মধ্যে স্বচ্ছতার পাশাপাশি রাজনীতির রং না-দেখে সরকারি বাড়ি বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের সুষম বণ্টনে জোর দিচ্ছে জেলা তৃণমূল। বুধবার বোলপুরের বৈঠকে নেতাকর্মীদের এই নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
এ দিনের বৈঠকে অন্যতম গুরুত্ব পায় দুঃস্থ মহিলাদের জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এবং সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির বিষয়টি। প্রকল্প নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে পদ না দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বৈঠকে জানানো হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠকে জেলা সভাপতির স্পষ্ট বার্তা ছিল, এ বারের বিধানসভা ভোটে মহিলারা যেহেতু নির্বিশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকেছেন, তাই যোগ্য কোনও প্রাপককে বঞ্চিত না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে দলের কর্মীদের।
ভোটে জিতে নির্বাচনী ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করছে রাজ্য সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে ২৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত দুঃস্থ পরিবারপিছু এক মহিলা সদস্যকে প্রতি মাসে আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। তার জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তফসিলি জাতি ও উপজাতি মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা ও বাকি মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, অনলাইনে আবেদন পূরণ করা থেকে প্রকল্প পাওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে বলা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক রং না দেখার জন্যও। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘এটি সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। তাই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়ে থাকা নেতাকর্মীদেরও দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ গিয়েছে।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠকে অনুব্রত দলের নেতাদের থেকে প্রতিশ্রুতি চান যে আর গ্রামীণ বাংলা আবাস যোজনা বা শহরের ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে কোথাও বিচ্যুতি বা ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠবে না। তা হলে রাজ্যের কাছে জেলার জন্য দরবার করবেন বলেও জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy