বাধা: শুক্রবার রামপুরহাট থানার ফরিদপুর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দখলদার উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে ফিরল পুলিশ ও প্রশাসন। শুক্রবার রামপুরহাট থানার ফরিদপুর গ্রামের ঘটনা।
ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ মণ্ডল জানান, তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তির প্রায় ৪২ একর জমি দীর্ঘদিন অন্যরা দখল করে রয়েছেন। এই ব্যাপারে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। রামপুরহাট মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস জানান, গত জানুয়ারিতে জমি থেকে দখলদারদের সরানোর নির্দেশ দেন আদালত। সেই মোতাবেক এ দিন সকালে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে এক জন ম্যাজিস্ট্রেট-সহ রামপুরহাট থানার আইসি স্বপন ভৌমিক, বিডিও (রামপুরহাট) নিতিশ বালা, পুলিশ ও বিএলএলআরও (রামপুরহাট ১) অফিসের কর্মীদের নিয়ে ফরিদপুর গ্রামে যান। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরিদপুর ও পাশের মালসা, গোপালনগর এবং জয়রামপুর গ্রামের চাষিদের একাংশ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। দখলদারদের বাধায় আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা যায়নি বলে মহকুমাশাসক জানান।
ফরিদপুর গ্রামের চাষি দিলীপ মেহেনা জানান, ওই গ্রামের বাসিন্দা ভানুমতী মণ্ডলের নামে ৬০ একর জমি ছিল। তার মধ্যে ৩০ একর খাস করে দেওয়া হয়। ওই খাস জমিতে ১৩৬ জন চাষি চাষ করে আসছেন। চাষিদের একাংশের দাবি, প্রায় ২৭ বছর ধরে সেখানে তাঁরা চাষ করে আসছেন। কিন্তু পরে বৈদ্যনাথ মণ্ডল ও পরিবারের অন্যরা জমির মালিকানা দাবি করতে শুরু করেন।
বৈদ্যনাথ মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘জমির রেকর্ডে খাস বলে আদৌ উল্লেখ করা নেই। জোর করে কিছু চাষি ওই জমি দখল করে রেখেছেন।’’ ৭ টি পরিবার তাঁদের জমি দখল করে বসবাস করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খোঁজা হবে বলে মহকুমাশাসক জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy