প্রশাসনিক দফতর থেকে থানা— শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন প্রক্রিয়ার দাবি নিয়ে রবিবার দিনভর সব জায়গাতেই গেলেন বিরোধীরা। এলাকায় নেতারা গেলেন প্রার্থীদের মনোবল বাড়াতে। বাধা এলে কী করা হবে, তা ঠিক করতে হল বৈঠক। শাসকদলের দফতরেও আলোচনায় বসলেন নেতা-কর্মীরা। আজ, সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনের ধার্য করা মনোনয়নের বাড়তি দিন। তার আগের ছুটির দিনটা সবার কেটে গেল ছোটাছুটি করেই।
রবিবার সকাল থেকেই সতীঘাট বাইপাস এলাকায় জেলা তৃণমূলের দফতরে দফায় দফায় বৈঠক হয়। দল সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে তাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করে দিয়েছেন। তাহলে মনোনয়নের বাড়তি দিনটিতে শাসকদলের ভূমিকা কী হবে? জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের পরিবেশ নষ্ট করতে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের মতো কিছু ভাইরাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের হাতে উন্নয়নের অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। সেটা কেবল ছড়িয়ে দেব।”
নির্বাচন কমিশন গোড়ায় মনোনয়নের জন্য সাত দিন সময় দিয়েছিল। কিন্তু মনোনয়ন জমা করতে যাওয়া বিরোধী প্রার্থীদের জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি অফিসে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অফিসের সামনে ছিল সশস্ত্র জমায়েত। বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসকের দফতরের বাইরে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে হেলমেটে মুখ ঢাকা লাঠিধারীদের। এখনও পর্যন্ত এই জেলায় জেলা পরিষদের অর্ধেক আসনেও বিরোধী মনোনয়ন জমা পড়েনি। বিষ্ণুপুর মহকুমার ছ’টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতগুলিতে বিরোধীদের মনোনয়নই জমা পড়েনি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের প্রশ্ন, বাড়তি একটা দিন মিলেছে বটে, কিন্তু তা কি আদৌ কাজে লাগানো যাবে?