পারিবারিক ঝামেলার কারণে বান্ধবীর বাড়িতে চলে যান তৃণমূল নেতা। খুঁজে আনল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়া বীরভূমের নানুরের তৃণমূল নেতার খোঁজ মিলল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। মঙ্গলবার সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে নানুর থানার পুলিশ। কেন বারাসতে গেলেন, কী ভাবে গেলেন প্রথমে তা বলতে চাননি ওই তৃণমূল নেতা। তবে পরে বললেন, ‘‘নিজেই চলে গিয়েছিলাম। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। তার পর বারাসতে ছিলাম।’’ সেখানে কার বাড়িতে তিনি ছিলেন স্পষ্ট করে বলতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নেতা ছিলেন বান্ধবীর বাড়িতে। পারিবারিক অশান্তির কারণেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
শুক্রবার বিকেল বাসাপাড়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বীরভূমের নানুরের বাসাপাড়ার সিধাই গ্রামের বাসিন্দা বাবুলাল। তার পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। তাঁর মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন এবং চটি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের তরফে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা হয় ফোনে। কিন্তু বাবুলালের মোবাইল ফোন ছিল বন্ধ।
প্রায় ৩ দিন বাবুলালকে খুঁজে না পেয়ে সোমবারই বাসাপাড়ার পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁর পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীদের একাংশ। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়। খোঁজ শুরু হয় বাবুলালের। সোমবার সকাল থেকে নানুর, কীর্ণাহার এবং লাভপুর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে তদন্ত কমিটি তৈরি করে বাবুলালের খোঁজ শুরু হয়। ড্রোন নিয়ে তল্লাশি চলে। পরে দুপুর নাগাদ গোপন সূত্রের খবর পেতে বারাসতে বাবুলালের খোঁজ পায় পুলিশ। তাঁকে সুস্থ অবস্থাতেই পাওয়া গিয়েছে। সোমবার রাতে আনা হয় নানুর থানায়।
সোমবার বিক্ষোভের সময় বাবুলালের দাদা সাবুলাল শেখ বলেন, ‘‘ভাই ৩৬ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ। সে জীবিত না মৃত আমরা জানি না। আমরা চাই পুলিশ ওকে খুঁজে বার করুক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত চাই আমরা। সেই জন্য আমরা থানা ঘেরাও করছি। এর পরেও পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা পথ অবরোধ করব। গ্রামের লোকজন এবং পরিবারের সদস্যরা মিলে অবরোধ করব।’’ ভাইয়ের সন্ধান মেলার পর অবশ্য স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy