ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন তৃণমূল প্রধান মিন্টু সাহা এবং কোম্পানির ঠিকাদার তথা মল্লারপুরের তৃণমূল নেতা পথিক মণ্ডলকে গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি। ওই দাবির সমর্থনে তারা সকাল ১১টা নাগাদ মল্লারপুরের ওই পঞ্চায়েত ভবনে তালাও ঝুলিয়ে দেয়। পরে পঞ্চায়েত ভবন লাগোয়া জাতীয় সড়কের বটতলা মোড়ে শুরু হয় পথ অবরোধ। বিজেপি-র জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়, ময়ূরেশ্বর ১ মণ্ডল কমিটির সহ-সভাপতি মানস বন্দ্যোপাধ্যায়দের অভিযোগ, ‘‘সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে সরকারি টাকা নয়ছয় করেছে প্রধান। বৈধ কাগজ ছাড়াই এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের মদতে পথিক মণ্ডলকে তাঁর ব্যবসার কাজে ওই সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে দিয়েছে। যা রোগীর বদলে বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।” সরকারি সম্মত্তি নষ্ট এবং বেআইনি হস্তান্তরের অভিযোগে তাঁরা প্রধান ও ঠিকাদারকে গ্রেফতারের দাবি জানান। অতনুবাবুদের দাবি, তাঁরা এ দিন এই মর্মে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ এফআইআর নেয়নি। আধঘণ্টা পরে বিজেপি অবরোধ তুলে নেয়। দুপুরে পঞ্চায়েতের তালাও খুলে দেয়। পরে এসডিও-র (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাসের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানান।
এ দিকে, চাপে পড়ে এ দিন বৃহস্পতিবারের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান। মিন্টুবাবু এ দিন দাবি করেন, ‘‘ওই অ্যাম্বুল্যান্স লিজে দেওয়া হয়নি। মৌখিক ভাবে বলা হয়েছিল। বর্তমানে অ্যাম্বুল্যান্সটি যেখানে ছিল, সেখানেই রাখা আছে।’’ কেন কোম্পানির বোর্ড লাগিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে বিদ্যুৎ দফতরের মল্লারপুর সাব স্টেশনে রাখা হবে? কেনই বা ঠিকাদার তা বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বহনের জন্য ব্যবহার করবেন? কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি মিন্টুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।’’