Advertisement
E-Paper

১২ বছর পার করে জানা গেল শংসাপত্র বৈধ নয়

বিজেপি নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, ঘাঘরার প্রধান পদ তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ছিল। অদীপের ওই জাতিগত শংসাপত্র থাকায়, তাঁকেই প্রধান করা হবে বলে ঠিক করা হয়। কিন্তু, প্রশাসনের প্রতিনিধি অদীপের জাতিগত শংসাপত্র অবৈধ বলে বাজেয়াপ্ত করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০১:২৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শংসাপত্র দেওয়ার ১২ বছর পর প্রশাসন জানতে পারল তা ‘অবৈধ’! পুরুলিয়ার জয়পুরের ঘাঘরা পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান পদের দাবিদারের জাতিগত শংসাপত্র প্রশাসন বাজেয়াপ্ত করার পরে এই প্রশ্নই তুলছেন দলের কর্মীরা। বিজেপির অভিযোগ, প্রশাসন শংসাপত্র বাজেয়াপ্ত করে তাদের সদস্যকে প্রধান করতে দেয়নি। তার জেরেই গোলমাল বাধে, চলে গুলি। মারা যান দুই বিজেপি সমর্থক। গুলিবিদ্ধ হন আরও তিন জন। বিজেপির সেই প্রধান পদের দাবিদার অদীপ মণ্ডল তাঁর তফসিলি জাতির শংসাপত্রটি পুলিশ সে দিন ছিনিয়ে নেয় বলে বুধবার জয়পুর থানায় ডাকযোগে অভিযোগপত্র পাঠান বলে দাবি করেছেন।

বিজেপি নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, ঘাঘরার প্রধান পদ তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ছিল। অদীপের ওই জাতিগত শংসাপত্র থাকায়, তাঁকেই প্রধান করা হবে বলে ঠিক করা হয়। কিন্তু, প্রশাসনের প্রতিনিধি অদীপের জাতিগত শংসাপত্র অবৈধ বলে বাজেয়াপ্ত করেন।

অদীপের দাবি, ‘‘২০০৬ সালে এই শংসাপত্রটি আমি পুরুলিয়ার মহকুমাশাসকের কাছ থেকে পেয়েছিলাম। তাহলে কোন যুক্তিতে আমার শংসাপত্রটি এখন অবৈধ বলে দাবি করা হচ্ছে?’’ জয়পুরের বাসিন্দা বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য শঙ্করনারায়ণ সিংহ দেও বলেন, ‘‘অদীপের জাতিগত শংসাপত্র মনোনয়ন স্কুটিনির সময়েই প্রশাসন পরীক্ষা করেছিল। তখন তো আটকায়নি। আর যদি অবৈধই হয়, তাহলে প্রশাসনের আদালতে যাওয়ার কথা। কিন্তু কোন যুক্তিতে সংখ্যা গরিষ্ঠদের বোর্ড গঠনে বঞ্চিত করবে?’’

জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় দাবি করেন, ‘‘ওই ব্যক্তির জাতিগত শংসাপত্রটি অবৈধ বলে প্রশাসনের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর ঝাড়খণ্ডে এবং এ রাজ্যেও ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি জাতিগত শংসাপত্র নিয়েছিলেন। প্রথমে ধরা না পড়লেও পরে অভিযোগ হওয়ায় তা তদন্তে প্রমাণিত হয়। ওই শংসাপত্র যে বাতিল করা হয়েছে, তা ওই ব্যক্তিকে জানিয়েও দেওয়া হয়। তবু তিনি ওই শংসাপত্রটিই পেশ করেছিলেন। সে কারণে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’

আগে স্কুটিনিতে কেন ধরা পড়েনি?

জেলাশাসক বলেন, ‘‘আগে কোনও কারণে তা ধরা পড়েনি। তার মানে এই নয় যে শংসাপত্রটি বৈধ।’’ যদিও অদীপ দাবি করেছেন, ‘‘অনেক আগে ঝাড়খণ্ডের ভোটার তালিকায় আমার ছিল। কিন্তু, পরে সেখান থেকে নাম কাটিয়ে দিই।’’

Cast Certificate Invalid BJP Panchayat Panchayat Election 2018
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy