বৃহস্পতিবার বিকেলেও ছিল গেরুয়া। শুক্রবার সকালে দেখা যায় তার উপরে সাদার পোচ। নিজস্ব চিত্র
রাতের অন্ধকারে বিজেপির দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের গেরুয়া-সবুজ রং বদলে নীল-সাদা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার রাতে রাইপুরের মণ্ডলকুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। গোটা ঘটনায় পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে বিজেপি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ও পুলিশ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মণ্ডলকুলি পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসন পায় বিজেপি, দু’টি আসন জেতে তৃণমূল। বিপুল ব্যবধানে জয়ের পরে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগেই পঞ্চায়েত অফিস গেরুয়া-সবুজ রং করে ফেলা হয়। সেই রং এ বার বদলে গেল।
ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বন্দনা মণ্ডল শুক্রবার দাবি করেন, “গেরুয়া রং বদলে নীল-সাদা রং করে ফেলার জন্য নানা ভাবে আমাদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আমাকে বহুবার ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়েছে এর জন্য। কিন্তু আমরা তা করিনি।” তাঁর অভিযোগ, “রাতের অন্ধকারে পুলিশ নিয়ে এসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই পঞ্চায়েত অফিসের রং বদলে দিয়েছে বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়েছি। পঞ্চায়েত প্রাঙ্গণে কিছু জিনিসপত্রে ভাঙচুরও করা হয়েছে।” তিনি জানান, ঘটনার কথা মৌখিক ভাবে রাইপুরের বিডিওকে তিনি জানিয়েছেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাওয়া হলে পুলিশ ফিরিয়ে দেয় বলে তাঁর দাবি।
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র অভিযোগ করেন, “পুলিশ ও প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের মনোনয়ন দেওয়া রুখে দিয়েছিল তৃণমূল। মণ্ডলকুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের রং-ও পুলিশের সহযোগিতায় বদলে দিয়েছে তৃণমূল। সাধারণ মানুষ এটা মেনে নেবেন না।” যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তার ভিত্তি নেই। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।”
বিডিও (রাইপুর) সঞ্জীব দাস বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। তবে বিস্তারিত ভাবে আমার জানা নেই।” রাইপুর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি তথা রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজকুমার সিংহের দাবি, “ওই পঞ্চায়েতের রং আগে নীল-সাদাই ছিল। ভোটে জিতে রাতারাতি বিজেপি সেই রং বদলে গেরুয়া করে ফেলে। এই ঘটনা বিজেপিরই একটি গোষ্ঠী মেনে নিতে পারেনি। তবে লজ্জায় প্রকাশ্যে রং পরিবর্তন না করে ওই গোষ্ঠীই রাতের বেলায় এই কাজ করেছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।” জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খান বলেন, “ওটা প্রশাসনিক বিষয়। কিছু বলতে পারবো না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy