পরিত্যক্ত। নিজস্ব িচত্র
মজুত বোমার বিস্ফোরণে কাঁপল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার পরিত্যক্ত পাম্পঘর। বৃহস্পতিবার রাতে ইলামবাজারের ধরমপুর পঞ্চায়েতের শুনমুনি গ্রামের ওই ঘটনায় সামনে এসেছে রাজনীতির চাপানউতর। বিজেপির অভিযোগ, সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তৃণমূলের লোকজন ওই ঘরে বোমা মজুত করে রেখেছিল। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, এটি সাজানো ঘটনাও হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজারের ধরমপুর পঞ্চায়েতের শুনমুনি গ্রামের দক্ষিণপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ধানজমিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী শেখ জালালের জল তোলার পরিত্যক্ত পাম্পঘর রয়েছে। সেখানেই কে বা কারা বোমা মজুত করে রেখেছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানকার বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। তবে ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিজেপির ইলামবাজারের ব্লক সভাপতি চিত্তরঞ্জন সিংহের কথায়, ‘‘নিয়ম করে বীরভূমের কোনও না কোনও তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। এলাকাকে অশান্ত করতে এবং সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তৃণমূলের তরফে ওই বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ, প্রশাসনকে বলব ঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।’’ তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েতের সদস্যা রকেয়া বিবি বলছেন, ‘‘ওই পাম্পের ঘরটি আমাদের। তবে দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে। কী ভাবে বিস্ফোরণ হল, কারা ওই ঘরে বোমা মজুত করে রেখেছিল বলতে পারব না। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।’’ ইলামবাজারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘দলবিরোধী কাজের জন্য পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীকে দেড় বছর আগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ওখানে কী ভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে বলতে পারব না। এটি বিরোধীদের চক্রান্তও হতে পারে।’’
শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায়, ইলমাবাজার থানার ওসি সহ পুলিশ কর্মীরা। যদিও তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ইলামবাজারের ধরমপুর অঞ্চলে শাসকদলের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। এর আগেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে ওই এলাকা বারে বারে উত্তপ্ত হতে দেখা গিয়েছে। এলাকা কার দখলে থাকবে সেই নিয়েই যাবতীয় দ্বন্দ্ব। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy