একশো দিনের কাজের জব-কার্ড তাঁদের কাছেই থাকে, না কি জোর করে কেউ নিয়ে নেয়— এমন প্রশ্ন শুনে কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন কয়েক জন শ্রমিক। ভাষার সমস্যায় প্রশ্ন বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে হয়তো, ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক এমনটা দাবি করলেও, ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং’ (এনএলএম) দলের সদস্যেরা জানালেন, শ্রমিকেরাই যা বলার বলবেন। খানিক ধাতস্থ হয়ে শ্রমিকেরা জানালেন, কার্ড তাঁদের কাছেই থাকে।
বুধবার পুরুলিয়ার জয়পুর পঞ্চায়েতের হোয়াংদায় এ ভাবেই নানা তথ্য জানলেন কেন্দ্রীয় দলটির সদস্যেরা। পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকের আরও দু’টি পঞ্চায়েতে গিয়ে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্প খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এ দিন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকেও তিনটি পঞ্চায়েতে গিয়ে ওই দুই প্রকল্প পরিদর্শন করে
কেন্দ্রীয় দল।
একশো দিনের কাজে মজুরি ঠিক মতো মিলছে কি না, চাইলেই কাজ পাওয়া যায় কি না, পুরুলিয়ার জয়পুর পঞ্চায়েতে গিয়ে শ্রমিকদের কাছে এ সবও খোঁজ নেন ওই সদস্যেরা। পঞ্চায়েতের প্রতিনিধির কাছে কাজের নথিপত্র দেখা হয়। ওই পঞ্চায়েতের ধবনি গ্রামে আবাস যোজনা প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে ওই সদস্যেরা, বাড়ির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি কেন, সে প্রশ্ন তোলেন। এক উপভোক্তা দশ হাজার টাকা এখনও মেলেনি বলে জানালে, বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চান কেন্দ্রীয় দলের সদস্যেরা। ব্লকের প্রতিনিধি জানান, সব টাকাই দেওয়া হয়েছে। ওই উপভোক্তার ব্যাঙ্কের পাশবই ‘আপডেট’ করা নেই।