Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

হস্টেলে বিশৃঙ্খলা, শো-কজ নেতাদের

বেআইনি ভাবে পূর্বপল্লি ছাত্রাবাসে ঢুকে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে দুই ছাত্রনেতাকে শো-কজ করল বিশ্বভারতী। রবিবারই ছাত্র পরিচালক অধ্যাপক শমিত রায়ের পাঠানো ওই নোটিস হাতে পেয়েছেন অভিযুক্ত দুই ছাত্র। নোটিস মেলার সাত দিনের মধ্যে অভিযোগ সম্পর্কে নিজেদের বক্তব্য লিখিত জানাতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী। যদিও সোমবার অভিযুক্ত জামসেদ আলি খান এবং অচিন্ত্য বাগদি দাবি করেছেন, ছাত্র-আন্দোলনের পাশে থাকার জন্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৫ ০১:৩০
Share: Save:

বেআইনি ভাবে পূর্বপল্লি ছাত্রাবাসে ঢুকে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে দুই ছাত্রনেতাকে শো-কজ করল বিশ্বভারতী। রবিবারই ছাত্র পরিচালক অধ্যাপক শমিত রায়ের পাঠানো ওই নোটিস হাতে পেয়েছেন অভিযুক্ত দুই ছাত্র। নোটিস মেলার সাত দিনের মধ্যে অভিযোগ সম্পর্কে নিজেদের বক্তব্য লিখিত জানাতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী। যদিও সোমবার অভিযুক্ত জামসেদ আলি খান এবং অচিন্ত্য বাগদি দাবি করেছেন, ছাত্র-আন্দোলনের পাশে থাকার জন্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।

বিশ্বভারতীর সূত্রের খবর, গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় বিদ্যা-ভাষা ভবনের নবীন-বরণ অনুষ্ঠান ছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় এবং রাতে বিশ্বভারতীর ওই দুই ছাত্র নেতা ছাত্রাবাসে ঢুকে বিশৃঙ্খলা করেন বলে অভিযোগ। ছাত্রাবাসের আবাসিকদের একাংশের দাবি, ভাষা ভবনের ছাত্র জামসেদ এবং বিদ্যাভবনের ছাত্র অচিন্ত্য সে দিন বেশ কিছু সঙ্গী নিয়ে ‘বেআইনি ভাবে’ হস্টেলে ঢুকে পড়েন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রাবাসের এক আবাসিকের অভিযোগ, ‘‘ওরা আমাদের কয়েক জনকে গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করতেই সঙ্গীদের নিয়ে জামসেদরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে যায়। অনেক রাত পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা চালিয়ে ছাত্রাবাসের শান্তি বিঘ্নিত করে।’’ আবাসিকেরা নিরাপত্তা বিভাগে খবর দেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা অভিযুক্ত দুই ছাত্র এবং তাঁদের সঙ্গীদের ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেন। ওই ঘটনার দিন দু’য়েক পরে গত ৩০ মার্চ আবাসিক ছাত্রদের একাংশ লিখিত ভাবে গোটা বিষয়টি উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে জানান। তার পরের দিনই অভিযুক্ত দুই ছাত্রনেতাকে শো-কজ করে বিশ্বভারতী।

যদিও বিশ্বভারতীরই অন্য একটি সূত্রের দাবি, উচ্চ শিক্ষায় বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার বিরোধিতায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওই দুই ছাত্র নেতা। আন্দোলনের পরে ক্রমে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছিলেন দু’জনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত অন্য একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সেই প্রতিপত্তি নিয়েই জামসেদ-অচিন্ত্যর দ্বন্দ্ব শুরু হয় বলে খবর। ওই ছাত্রাবাসে গণ্ডগোলের নেপথ্যে এই দ্বন্দ্বই মূল কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন। এ দিন অভিযুক্ত দুই ছাত্রনেতারও বক্তব্য, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার জন্য কারও কারও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছি। সেই কারণেই বিশ্বভারতীর এক শ্রেণির মানুষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এবং পরিকল্পনা করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’ তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমরা বেআইনি ভাবে ঢুকে শান্তি বিঘ্নিত করলে, ওই ছাত্রাবাসের নিরাপত্তা রক্ষী কি তখন ঘুমোচ্ছিলেন?’’ গোটা ঘটনায় বিশ্বভারতীর কোনও কর্তা মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE