Advertisement
E-Paper

বেতন তুলেই কি ভুল, শুনানি

শুনানি থেকে বেরিয়ে মীরাদেবীর দাবি করেন, ‘‘আমি জানিয়েছি, আমি ‘লিয়েন’-এ রয়েছি। প্রতি সোমবার স্কুলও করি। তবে আমি যে মাইনে তুলতে পারি না, তা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর আমাকে জানায়নি। তাই আমিও মাইনে তুলেছি।’’ কর্মাধ্যক্ষ হাজারিবাবুও দাবি করেন, ‘‘আমিও জানিয়েছি, শিক্ষকতার মাইনে তোলা যাবে না বলে কেউ আমাকে জানাননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ২৩:৫৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি ও এক কর্মাধক্ষ্যের প্রাথমিক শিক্ষকতার মাইনে তোলা নিয়ে অভিযোগের শুনানি হল বৃহস্পতিবার। বর্ধমান বিভাগের কমিশনারের নির্দেশে এ দিন পুরুলিয়ায় জেলা পরিষদ ভবনে অতিরিক্ত জেলাশাসকের কক্ষে এই শুনানি হয়। তবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বর্ধমান বিভাগের কমিশনারের কাছে ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন, সহ-সভাধিপতি মীরা বাউরি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ হাজারি বাউরি— দু’জনে প্রাথমিক শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পরে বিধি মোতাবেক তাঁরা দু’জনেই শিক্ষকতার পেশা থেকে ছুটি নিলেও নিয়ম ভেঙে তাঁদের মাইনে তুলে যাচ্ছেন। এই অভিযোগের জেরেই এ দিন সব পক্ষকেই শুনানিতে তলব করা হয়। উত্তমবাবু, মীরাদেবী, হাজারিবাবু-সহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শুনানিতে ছিলেন।

শুনানি থেকে বেরিয়ে মীরাদেবীর দাবি করেন, ‘‘আমি জানিয়েছি, আমি ‘লিয়েন’-এ রয়েছি। প্রতি সোমবার স্কুলও করি। তবে আমি যে মাইনে তুলতে পারি না, তা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর আমাকে জানায়নি। তাই আমিও মাইনে তুলেছি।’’ কর্মাধ্যক্ষ হাজারিবাবুও দাবি করেন, ‘‘আমিও জানিয়েছি, শিক্ষকতার মাইনে তোলা যাবে না বলে কেউ আমাকে জানাননি। তবে বিধিতে যা রয়েছে, তাই হবে।’’ দু’জনেই জানিয়েছেন, তাঁরা জেলা পরিষদের সাম্মানিক গ্রহণ করেন না।

মীরাদেবী অভিযোগ তুলেছেন, উত্তমবাবু তাঁকে আপত্তিজনক কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘উনি আমাকে পদত্যাগ দাবি করেছেন, মাইনে বাবদ নেওয়া সমস্ত টাকাও ফেরত দিতে হবে বলে দাবি করেছেন। এটা উনি ঠিক করার কে?’’ উত্তমবাবুর জবাব, ‘‘আমি বলেছি, হয় উনি সহ-সভাধিপতি পদে থাকুন, তাহলে মাইনে নিতে পারবেন না। কিংবা মাইনে নিলে পদ থেকে ছাড়তে হবে।’’

প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের সভাপতি হেমন্ত রজক বলেন, ‘‘আমাদের দফতরে এ ব্যাপারে যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা অস্পষ্ট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বছর খানেকেরও বেশি আগে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। জবাব আসেনি। ফের তাগাদা দিতে হবে।’’

অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অরিন্দম দত্ত বলেন, ‘‘শুনানিতে যা উঠে এসেছে, তা কমিশনারের দফতরে পাঠিয়ে দেব। সিদ্ধান্ত তাঁরা নেবেন।’’

Political Leader পুরুলিয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy