পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের সহযোগিতায় ব্লক কৃষি দফতরের গুদাম থেকে সার পাচার করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সরব হল বিজেপি। সার ভর্তি ট্রাক্টর আটক করলেন বিজেপি কর্মীরা। সোমবার দুপুরে ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত মল্লারপুরের ঘটনা।
ওই ঘটনায় এ দিনই বিজেপি-র ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক মণ্ডল কমিটির সভাপতি দীনবন্ধু মণ্ডল কৃষি দফতরের তিন কর্মী, ট্রাক্টর চালক ও খালাসি-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে ঘটনার খবর পেয়ে রামপুরহাট মহকুমা কৃষি আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার ব্যক্তিগত জামিনে তিন কর্মীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
বিজেপি-র ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের মণ্ডল কমিটির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘মল্লারপুরে অবস্থিত ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক কৃষি দফতরের গুদাম থেকে এক ট্রাক্টর সার বিনা কাগজপত্র-সহ পাচার করা হচ্ছিল। ওই পাচার চক্রের সঙ্গে ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মুলুকচাঁদ বাগদি জড়িত। দলীয় কর্মীদের প্রচেষ্টায় ওই পাচার আটকানো গিয়েছে। হাতেনাতে ধরা পড়া কৃষি দফতরের তিন কর্মী-সহ ট্রাক্টর চালক ও খালাসিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিকে, দিবানাথবাবুর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কৃষি দফতরের কর্মীদের চুরি বা পাচারের কোনও যোগই নেই। ট্রাক্টর ভর্তি সার ভুট্টা প্রদর্শন ক্ষেত্রের জন্য ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ভাদু মুর্মুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁর আরও দাবি, ‘‘সার নিয়ে যাওয়ার জন্য কাগজপত্র যে কর্মীর কাছে জমা ছিল, ঘটনাচক্রে তিনি এ দিন রামপুরহাটে অফিসের কাজে এসেছিলেন। তাই অফিসে থাকা কর্মীরা কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি।’’ তারই মধ্যে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা (বিজেপি কর্মীরা) বেআইনি ভাবে সার পাচার হচ্ছিল বলে হৈচৈ তুলে ট্রাক্টর আটকে রেখে কর্মীদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মুলুকচাঁদও।
দিবানাথবাবু জানান, ট্রাক্টরটিতে ২০ কিলোগ্রাম ওজনের ১০০ বস্তা সার আছে। সার ভর্তি ওই ট্রাক্টরটিকে ময়ূরেশ্বর থানার আপাতত নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy