শোক: ঝর্নাদেবী। নিজস্ব চিত্র
বধূ খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রাম। সোমবার সকালে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ওই গ্রামের বধূ প্রিয়াঙ্কা বাঙাল (২৬)-এর। পরে ওই বধূর বাপের বাড়ির গ্রাম পানরডাঙরের লোকজন প্রিয়াঙ্কার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই বধূর স্বামী নবকুমার বাঙাল-সহ শ্বশুরবাড়ির ছ’জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে।
এ দিন নারায়ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল পুলিশ নবকুমারদের বাড়ি ঘিরে রেখেছে। আসবাবপত্র, পাম্পসেট তছনছ হয়ে ছড়িয়ে রয়েছে। পড়শি মৃত্যুঞ্জয় পাল, শান্তুনু দে, গোকুল বারিকেরা জানান, নবকুমাররা দুই ভাই। পেশা চাষআবাদ। তাঁরা বলেন, ‘‘অনেক লোক লাঠি, রড, মুগুর, বাঁশ নিয়ে তাণ্ডব চালায়। দু’জন সিভিক ভল্যান্টিয়ার ছিল। তাঁদেরও হেনস্থা করা হয়।’’
বিষ্ণুপুর হাসপাতালের সুপার পৃথ্বীশ আকুলি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্বামী পরিচয় দিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন এক ব্যক্তি। চিকিৎসকেরা প্রিয়াঙ্কাকে মৃত বলে জানালে চম্পট দেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ির পড়শি সঞ্জয় ধক, সুদীপ দে, মানস দে, বাপ্পা ভুই বলেন, ‘‘নারায়ণপুরের কয়েক জনের থেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। দেখি, জরুরি বিভাগের সামনে দেহ পড়ে রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির কেউ নেই।’’ প্রিয়াঙ্কার মা ঝর্না দে জানান, বছর দেড়েক আগে নবকুমারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয়েছিল। বকেয়া ২০ হাজার টাকা পণের জন্য তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে ঝর্নাদেবীর অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy