কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া পুরুলিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতার ইদানীং তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা রসভার বিরোধী দলনেতা বিভাস দাস বরাবরই শাসকদলের সম্পর্কে গরমাগরম কথা বলতেন। সেই তাঁকেই গত শনিবার শহর তৃণমূল আয়োজিত একটি ইফতার পার্টিতে প্রথমবার তাঁকে দেখা যায়। মঙ্গলবার তাঁর আয়োজিত ইফতার পার্টিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, পুরুলিয়ার উপপুরপ্রধান সামিমদাদ খান-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা ছিলেন। যদিও জেলা বা শহরের প্রথম সারির কোনও কংগ্রেস নেতাকে সেখানে দেখা যায়নি। তবে কি বিধানসভা ভোটের টিকিট না পাওয়া বিভাসবাবু এ বার অন্যকিছু ভাবছেন? জল্পনা ছড়িয়েছে পুরুলিয়ায়।
বিধানসভায় পুরুলিয়া আসনে টিকিটের দাবিদার ছিলেন বিভাসবাবু। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর শিবিরের লোক হিসেবে পরিচিত বিভাসবাবুকে টপকে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস তৃণমূল ছেড়ে আসা সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে টিকিট দেন। তিনি তৃণমূলের কাছ থেকে পুরুলিয়া কেন্দ্রটি ছিনিয়েও নিয়েছেন। টিকিট না পেয়ে তখনই বিভাসবাবু দল ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছিলেন। শেষমেশ অবশ্য ছাড়েননি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন পর্ব থেকে তাঁকে দলের কোনও কর্মসূচিতে আর দেখা যাচ্ছে না। তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে খবর, তিনি দলবদলের কথা ভাবছেন। বিভাসবাবু বলছেন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে ঠিকই। তবে আমি এখনও কংগ্রেসেই রয়েছি। আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সবাই যেতে পারেন।’’ এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি বৈদ্যনাথ মণ্ডলের মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলে সকলেই স্বাগত।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি স্পষ্ট করে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও দল সূত্রে খবর, বিভাসবাবুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের টিকিট সবাইকে দেওয়া যায় না। তবে বিভাস পুরসভার বিরোধী দলনেতা। এই পরিচিতি তাঁকে কংগ্রেসই দিয়েছে। কিন্তু এখন ডাকা সত্ত্বেও তিনি দলের কর্মসূচিতে আসছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর নানা ভাবে যোগাযোগের খবর আমরা পাচ্ছি। কোনও প্রলোভনে কেউ যদি দল ছাড়ে, আমরা কী করব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy