Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রী বলতেই শুরু রাস্তার কাজ

রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে কাজ মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসীর কাছে এই অভিযোগ শুনেই সভাধিপতিকে দ্রুত ওই রাস্তার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজও হল। মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়ার দিনেই বুধবার থেকে সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হল বাঁকুড়া জেলা পরিষদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৪০

রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে কাজ মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসীর কাছে এই অভিযোগ শুনেই সভাধিপতিকে দ্রুত ওই রাস্তার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজও হল। মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়ার দিনেই বুধবার থেকে সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হল বাঁকুড়া জেলা পরিষদ।

সোমবার জেলা সফরে এসে রাইপুরের ফুলকুসমায় জনসভা থেকে মুকুটমণিপুরে জেলা পরিষদের তৈরি করা স্টল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা সেরে মুকুটমণিপুরে সেই স্টল দেখতে তিনি যান। সেখানেই অম্বিকানগরের কিছু বাসিন্দা তাঁকে জানান, মুকুটমণিপুর থেকে অম্বিকানগর যাওয়ার প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। তবে রাস্তা সংস্কারের ওই কাজ সম্পূর্ণ করার আগেই হঠাৎ তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি করা হয়েছিল। মাঝে রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ বেহাল হয়ে পড়ে। ফলে যানবাহন চলাচলে ফের সমস্যা তৈরি হয়। রাস্তার খানাখন্দে প্রায় দুর্ঘটনাও ঘটছিল বলে অভিযোগ। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তার বেহাল ওই অংশ জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে মেরামতি শুরু হয়। তবে গোটা রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যাও মেটেনি।

মুখ্যমন্ত্রী এলাকাবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনেই জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীকে ওই রাস্তার অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেন। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়ার পরেই ফের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ওই রাস্তায়। সভাধিপতি অরূপবাবু বলেন, “এলাকায় পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়েছিল বলেই ওই রাস্তা মেরামতির কাজ স্থগিত রাখা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলার পর ফের রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার থেকেই ঠিকাদার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।”

অন্য দিকে, রাইপুর থেকে আখখুটা মোড় হয়ে অম্বিকানগর যাওয়ার প্রায় ২২ কিলোমিটার রাস্তাটির মধ্যে ১৮ কিলোমিটার জেলা পরিষদ ও বাকি অংশটি পূর্ত দফতরের আওতায় রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে এক কোটি টাকা বরাদ্দ করে জেলাপরিষদ সংস্কারের কাজ শুরু করে ওই রাস্তায়। তবে বর্তমানে রাস্তাটি ফের বেহাল হয়ে পড়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে ওই রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গ মেরামতির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অরূপবাবু জানান, রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য অন্তত ১৫ কোটি টাকা দরকার। তিনি বলেন, “ওই রাস্তাটি যাতে পূর্ত সড়ক বিভাগ পূর্ণাঙ্গ মেরামতির দায়িত্ব নেয়, তা নিয়ে ওই দফতরের সঙ্গে আলোচনা করব।”

Road construction CM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy