পঞ্চায়েত প্রধান-সহ মোট ছয় বাম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বাঘমুণ্ডির বুড়াদা-কালিমাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল পেল তৃণমূল। রবিবার বিকেলে এই পঞ্চায়েতের প্রধান শিবনাথ সিংহ বাবু-সহ ফরওয়ার্ড ব্লকের মোট ছ’জন পঞ্চায়েত সদস্য পুরুলিয়ায় জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে এসে জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এ দিন তাঁর সঙ্গে আরও যে পাঁচজন সদস্য যোগ দেন তাঁরা হলেন জলধর কুমার, যজ্ঞেশ্বর সিং মুড়া, নুনিবালা মাহাতো, সুমিত্রা বাগদি, ঠাকুরমণি মাছুয়ার। শিবনাথবাবু দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য যে কাজ করছেন আমরা তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’ উল্লেখ্য এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১২টি আসনের মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লক পেয়েছিল ১১টি ও কংগ্রেস পেয়েছিল ১টি আসন। ফব-র ছয় সদস্য তৃণমূলে যাওয়ায় এই পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে চলে এল বলে জানিয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা সুশান্ত মাহাতো।
এ দিন ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের বাঘমুণ্ডি জোনাল সম্পাদক মনোজ মণ্ডল ও বাঘমুণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রেবতী রজকও তৃণমূলে যোগ দেন। মনোজবাবু জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহ-সভাধিপতিও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘বাঘমুণ্ডিক বুড়দা-কালিমাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় সদস্য আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় আমাদের শক্তি বাড়ল। বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তৃণমূলে প্রতিদিনই মানুষ যোগ দিচ্ছেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনই আমাদের পাখির চোখ।’’ উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো ও সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো। তবে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি নিশিকান্ত মেহেতা বলেন, ‘‘আমাদের সমর্থকদের ভোটে জিতে ওঁরা প্রলোভনে পড়ে দল ত্যাগ করে ঠিক কাজ করলেন না। তবে এতে দলের কোনও ক্ষতি হল না। মানুষ সব বুঝতে পারছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy