Advertisement
E-Paper

বন্ধ ‘ক্রেশ’ চালুর দাবি বিশ্বভারতীতে

ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, বিশ্বভারতীতে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের শিশুদের জন্য চালু হয়েছিল ‘ক্রেশ’। কিন্তু উদ্যোগের অভাবের পাশাপাশি ব্যবহার না হওয়ায়, কার্যত নষ্ট হতে বসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ১৩:২০
নষ্ট: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অভাবে  তৈরি হয়েও পড়ে রয়েছে ক্রেশ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

নষ্ট: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অভাবে তৈরি হয়েও পড়ে রয়েছে ক্রেশ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, বিশ্বভারতীতে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের শিশুদের জন্য চালু হয়েছিল ‘ক্রেশ’। কিন্তু উদ্যোগের অভাবের পাশাপাশি ব্যবহার না হওয়ায়, কার্যত নষ্ট হতে বসেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে, অবিলম্বে ওই ‘ক্রেশ’ চালু করার দাবি তুলেছে বিশ্বভারতীর বিভিন্ন মহল। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত বলেন, “সব মহলে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে ‘হায়দরাবাদ হাউসে’ ওই ব্যবস্থা শুরু করেছিল বিশ্বভারতী। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয়েছিল ওই প্রতিষ্ঠানের। বিশ্বভারতীতে কর্মরত অভিভাবকদের শিশুদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায়, অনেকেই উপকৃত হবেন বলে আশা ছিল সংশ্লিষ্ট মহলের। কিন্তু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনই হয়েছে। উপযুক্ত পরিচর্যা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অভাবে কার্যত বন্ধ পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায়, কার্যত জঙ্গল ও আগাছায় ছেয়ে গিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়য় মঞ্জুরি কমিশনের একাদশ পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য আলাদা ভাবে অর্থ মঞ্জুরির ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য এই ব্যবস্থা আগেই চালু করেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অসমের কটন কলেজ। ২০০৯ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ২০১১ সালে কটন কলেজ এই ব্যবস্থা চালু করেছেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী ৮০০ থেকে ১২০০ বর্গফুট জায়গার মধ্যে অন্তত পক্ষে ২৫ থেকে ৩০টি শিশুর জন্য ব্যবস্থা থাকবে। পরিবেশ অবশ্যই যেন শিশু বান্ধব হয়, তার জন্য আলাদা করে নির্দেশ ছিল।

বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের নির্দেশে, ক্রেশ ব্যবস্থার সুচারু পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন হয়েছিল। কলাভবনের অধ্যাপিকা মেঘালি গোস্বামীর নেতৃত্বে দুই অধ্যাপিকা লরিসা লিন্ডেম এবং সরিতা আনন্দ ছিলেন ওই কমিটিতে। প্রাথমিক ভাবে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের শিশুদের জন্য ওই ‘ক্রেশ’ ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়য় মঞ্জুরি কমিশনের একাদশ পরিকল্পনায়। ঘটনা হল, টাকা খরচ করে, গড়ে তোলা এমন এক প্রতিষ্ঠান ঠিক কি কারণে বন্ধ হল তার অবশ্য কোনও সঠিক কারণ জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মন্তব্য করতে চাননি কমিটিও।

CRECHE Visva-Bharati University
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy