নজরদারি। শুক্রবার দুবরাজপুরের গ্রামে তোলা নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি পোস্ত চাষের নজরদারিতে ফের ড্রোনের ব্যবহার করল প্রশাসন।
শুক্রবার সকাল ও বিকালে দুবরাজপুরের যশপুর পঞ্চায়েতের খোঁয়াজ মহম্মদপুর ও বালিজুড়ি পঞ্চায়েত এলাকার কুখুটিয়া গ্রামে আকাশপথে নজরদারি চালায় কলকাতা পুলিশের একটি ড্রোন। সিআইডি-র নারকোটিক্স শাখার তত্ত্বাবধানে এই নজরদারি চলে। বিগত বছরগুলিতে বেশ কিছু এলাকায় রমরমিয়ে পোস্ত চাষ হয়েছিল। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে সেই এলাকায় কি ফের পোস্ত চাষ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যদিও কোথাও পোস্ত চাষ হয়েছে, তা এ দিন ধরা পড়েনি।
এক ছটাক জমিতে বেআইনি পোস্ত চাষ নয়, কেউ চাষ করলে কমপক্ষে ১০ বছরের হাজতবাস— পোস্তচাষ বিরোধী এমন প্রচারে নভেম্বর মাসের প্রথম থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। কেননা গত বছর খয়রাশোল ও দুবরাজপুর এলাকায় ব্যাপক পোস্ত চাষ হয়েছিল। শেষের দিকে পোস্তচাষ নষ্ট করার একটা চেষ্টা প্রশাসন করলেও সেটা আদৌও কার্যকরি ছিল না বলে অভিযোগ। তাই যে সময় পোস্ত লাগানো হয় (নভেম্বরে), তখন এই দুই ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি চালিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। আবগারি সুপার তপন রায় বলছেন, ‘‘পোস্ত চাষ করলে এখনই সাদা সাদা ফুল ফোটে। তেমন কিছু নজরে পড়ছে কিনা, সেটা দেখাই দ্বিতীয় দফায় ড্রোন ব্যবহারের উদ্দেশ্য।’’ উপস্থিত ছিলেন আবগারি সুপার ও অন্যান্য পদস্থ অধিকারিকেরা। ছিলেন দুবরাজপুরের ওসি শেখ মহম্মদ আলি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং সিআইডি-র নারকোটিক্স শাখা। সিআইডি সূত্রের খবর, ড্রোনের সঙ্গে যুক্ত উন্নতমানের ‘১০এক্স অপটিক্যাল জুম’ ক্যামেরা দিয়ে কেন্দ্রের চারদিকে আড়াই কিলোমিটার পরিধি জুড়়ে নজরদারি চালানো সম্ভব। ড্রোন কীভাবে কাজ করে, তা দেখতে এ দিন ভিড় জমেছিল বিস্তর। আজ, শনিবার খয়রাশোলে একই ভাবে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy