দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে এত দিন তাঁকে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটারদের দোরগোড়ায় পৌঁছতে দেখা গিয়েছে। সোমবার সকালে সেই সাঁইথিয়াতেই নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা মাতলেন দলের তারকা নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের রোড-শোকে ঘিরে। আর ঠিক সে দিনই শহরে দেখা গেল না বিজেপি-র সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলকে! অথচ তিনিই সাঁইথিয়ায় পুরভোটে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। রূপার রোড-শোয়ে দুধকুমারের আচমকা এই ‘অনুপস্থিতি’কে কেন্দ্র করেই জেলা বিজেপি নেতৃত্বের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব ফের প্রকট হয়েছে।
কেন এলেন না দুধকুমার?
দল তাঁকে ডাকেনি বলে তোপ দেগেছেন দুধকুমার। তাঁর জায়গায় জেলায় দলের যিনি হাল ধরেছেন, বিজেপি-র জেলা আহ্বায়ক অর্জুন সাহার পাল্টা দাবি, ‘‘দুধকুমারদাকে খবর দেওয়া হয়েছিল। উনি তো নিজেই আগে জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত কাজ থাকায় এ দিনের রোড-শোয়ে থাকতে পারবেন না!’’ অর্জুনবাবু মুখে যা-ই বলুন না কেন, দুধকুমার কিন্তু কোনও রকম রাখঢাক না রেখেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সোজাসাপ্টা বলেন, ‘‘এ দিনের রোড-শো নিয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। তাই আমি যাইনি। অর্জুনবাবু এ রকমটা বলে থাকলে ডাঁহা মিথ্যা কথা বলেছেন!’’ আর পাঁচ দিন পরেই পুরভোট। তার আগে নেতৃত্বের এই কোন্দল দলেরই ক্ষতি ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজেপি-র নিচুতলার কর্মী-সমর্থকেরা। অন্য দিকে, সুযোগের সদব্যবহার করে লোকসভা ভোটের ফলে এগিয়ে থাকা বিজেপি-র দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানোর চেষ্টা শুরু করেছে শাসকদল এবং বামেরাও।