বাঁ দিকে মৃগাঙ্ক মাহাতো, ডান দিকে চিত্তরঞ্জন মাহাতো। নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল পুরুলিয়া জেলা আদালতে। নেপথ্যে ছেলের সাক্ষ্য। বাবা খুনের সাজা পাওয়ায় খুশি ছেলে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালের ১৭ অগস্ট। পুরুলিয়ার কেন্দা থানার ভাদশা গ্রামে খুন হন অষ্টমী মাহাতো নামে এক মহিলা। অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী চিত্তরঞ্জন মাহাতো তাঁকে খুন করেন। চিত্তরঞ্জন এবং অষ্টমীর বড় ছেলে মৃগাঙ্ক তখন বছর উনিশের তরুণ। তাঁর কথায়, ‘‘ওই দিন মনসা পুজো ছিল। আমি জ্যাঠার বাড়িতে পুজোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনতে পাই মায়ের, ‘বাবলা বাঁচা রে...।’ তখন ছুটে গিয়ে দেখি, বাবা মায়ের বুকের উপর বসে বাটালি দিয়ে মারছে। আমরা সকলে মিলে বাবাকে সরিয়ে দিই। তার পর আহত মাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেই সময় মা বলেছিল, ‘তোর বাবা আমাকে মেরে দিল।’ হাসপাতালেই মায়ের মৃত্যু হয়।’’
এর পর পুলিশ চিত্তরঞ্জনকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় মামলা। খুনের প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দিয়েছেন মৃগাঙ্ক। দীর্ঘ চার বছর ধরে আইনি লড়াই চালানোর পর শনিবার সেই মামলার রায় দিয়েছেন বিচারক। চিত্তরঞ্জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা দিতে না পারলে চিত্তরঞ্জনের আরও ছ’মাস কারাদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।
মৃগাঙ্ক বলছেন, ‘‘বাড়িতে অশান্তি ছিল। তবে এমন ঘটনা যে ঘটবে, তা ভাবিনি।’’ শনিবার বাবার নাম শোনা যায়নি মৃগাঙ্কের মুখে। বরং তিনি বলছেন, ‘‘যে অন্যায় করেছে তার সাজা হয়েছে তাতে আমি খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy