পরখ: পাড়ার মহাদেবপুরে। নিজস্ব চিত্র
দুর্ঘটনার চার দিন পরে পাড়ার মহাদেবপুর গ্রামে তদন্তে গেলেন ফরেন্সিক দল। মঙ্গলবার দুপুরে সেই দলের দুই সদস্য কলকাতা থেকে পুরুলিয়া ঘুরে মহাদেবপুর গ্রামে যান। সঙ্গে ছিলেন পাড়া থানার ওসি বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, দুপুর দুটো নাগাদ ফরেন্সিক দলের দুই সদস্যকে মহাদেবপুর গ্রামের প্রান্তের দুর্ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মহাদেবপুর গ্রামের প্রান্তে মাঠের এক পাশে খেজুর ও তালপাতার ঝুপড়িতে আগুন লাগায় মৃত্যু হয় তিন শিশু, তিন মহিলা-সহ মোট সাত জনের। মৃতেরা সবাই একই পরিবারের। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে যান গৃহকর্তা কালীপদ চৌধুরী-সহ ওই পরিবারের তিন বালক।
ঝুপড়ি তৈরি করে সেখানে বসবাস করে খেজুর রস সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন কাশীপুরের ধতলা গ্রামের বাসিন্দা কালীপদ। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে গত ছ’মাস ধরে তিনি মহাদেবপুরে ঝুপড়ি বানিয়ে থাকছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসেন কালীপদর এক শ্যালিকা। সঙ্গে ছিল আরও এক শ্যালিকা ও এক শ্যালক।
দুর্ঘটনার পরেই কারণ জানতে ঘটনার ফরেন্সিক তদন্ত করানো হবে বলে জানিয়েছিলেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া। সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশের তরফ থেকে ফরেন্সিক তদন্ত করানোর আবেদন পাঠানো হয়। এত দিন কেন ওই দল তদন্তে আসছে না তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে ছিলেন।
এ দিন ঘটনাস্থলে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার পরেই পুলিশ ঘিরে রাখা দড়ি খুলে দেন। পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ি ঢেকে রাখা ত্রিপল তোলা হয়। ঘণ্টাখানেক সময় ধরে ঘটনাস্থল থেকে পোড়া মাটি, বাঁশের টুকরো-সহ বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ফরেন্সিক রিপোর্ট পেলে আগুন লাগার কারণ
জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy