E-Paper

নেওয়া হবে সব জমিই, আশ্বাস সালিমের

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল প্রস্তাবিত ডেউচা পাঁচামি কয়লাখনি এলাকার মধ্যে থাকা সমস্ত জমি কেনা হবে।

পাপাই বাগদি

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ ০৯:১৭
বৈঠক শেষে পিডিসিএলের এমডি পি বি সালিমের সঙ্গে মহম্মদবাজারের ডেউচা পাঁচামির নন ব্যাসাল্ট এলাকার জমির মালিকেরা।

বৈঠক শেষে পিডিসিএলের এমডি পি বি সালিমের সঙ্গে মহম্মদবাজারের ডেউচা পাঁচামির নন ব্যাসাল্ট এলাকার জমির মালিকেরা। নিজস্ব চিত্র।

তিন মাসের মধ্যে মহম্মদবাজারের ডেউচা পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্পের নন ব্যাসাল্ট এলাকার জমি কিনবে সরকার। জমিদাতাদের চাকরিও দেওয়া হবে। মঙ্গলবার কলকাতায় খনি প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা পিডিএসএল-এর এমডি পিবি সালিমের সঙ্গে দেখা করে এমনই আশ্বাস মিলেছে বলে দাবি সোঁতসাল, আলিনগর, কবিলনগর ও সালুকা মৌজার জমির মালিকদের। ফলে, আপাতত বৃহত্তর আন্দোলনে নামছেন না তাঁরা।

সালিম বলেন, "ডেউচা পাঁচামির নন ব্যাসল্ট এলাকার কয়েকজন জমির মালিক এসেছিলেন। ওঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওঁদের দাবি, দ্রুত ওই এলাকার জমি রেজিস্ট্রি করতে হবে। আমরা আশ্বাস দিয়েছি। এখন ব্যাসল্ট এলাকার জমি রেজিস্ট্রির কাজ চলছে। এটা শেষ হলেই, নন ব্যাসল্ট এলাকার জমি রেজিস্ট্রির কাজ শুরু হবে। আশা করছি তিন মাসের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে।"

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল প্রস্তাবিত ডেউচা পাঁচামি কয়লাখনি এলাকার মধ্যে থাকা সমস্ত জমি কেনা হবে। সে মতোই জমির মালিকেরা আবেদন জানিয়ে ছিলেন। অভিযোগ, এখন যে জমির তলায় ব্যাসল্টের স্তর আছে যে জমি কেনা হচ্ছে। জমিদাতাদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। যেখানে জমির তলায় ব্যাসল্টের স্তর নেই, সেখানে জমি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

এই অভিযোগেই আন্দোলনে নামেন স্থানীয় নন ব্যাসল্ট এলাকার জমির মালিকেরা। রবিবার মহম্মদবাজারের সোঁতসালে সভা হয়। বৃহত্তর আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরেই আসরে নামে জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার কলকাতার পিডিসিএল অফিসে যান নন ব্যাসল্ট এলাকার ১৫ জন জমির মালিক। সূত্রের খবর, জমি মালিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পিডিসিএলের এমডি পিবি সালিমের বৈঠক হয়। সেখানে সমস্ত আবেদনকারী জমি নেওয়ার ব্যবস্থা হয়। জমির মালিকদের দাবি, বৈঠকের পরে তিন মাসের মধ্যে সকলের জমি নেওয়ার আশ্বাস দেন পিবি সালিম।

অলোচনায় যোগ দেওয়া জমির মালিক হাবিবুল শেখ বলেন, “নন ব্যাসল্ট এলাকায় বলে আমাদের জমি নেওয়া হচ্ছে না। তাই আমরা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এমডি স্যরের সঙ্গে দেখা করি। তিনি তিন মাস সময় নিয়েছেন। তার মধ্যেই সকল আবেদনকারীর জমি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এতে আমরা সকলে খুশি।” সেকেড্ডা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি আব্দুল রহিম বলেন, “আমাদের সঙ্গে ব্লক তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন। তিনি তিন মাসের মধ্যে সকলের জমি নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

mohammadbazar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy