বর্ধমানের নার্সিংহোম-কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল রামপুরহাট হাসপাতাল। রেফার হওয়ার রোগীদের ঠিক হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিনা, তার নজরদারি চালাতে অ্যাম্বুল্যান্সগুলিতে জিপিএস বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরে প্রায় এক মাস কেটে গেলেও ওই ব্যবস্থা চালু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালের নথিভুক্ত নিশ্চয় যান ও অ্যাম্বুল্যান্সগুলিকে জিপিএস ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিল রোগীকল্যাণ সমিতি।
সোমবার বৈঠকে বসেছিল হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতি। বৈঠক শেষে সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁরা গাড়িতে জিপিএস বসানোর ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই সমস্যা মিটিয়ে সাত দিনের মধ্যে যানগুলিতে জিপিএস ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ যানগুলির মালিক-চালকেরা এ দিন বৈঠক শেষে অবশ্য সাংবাদিকদের জানান, জিপিএস চালু করার জন্য দরদাম নিয়ে একটু সমস্যা চলছিল। আগামী সাত দিনের মধ্যে যানগুলিতে তাঁরা জিপিএস বসিয়ে এই নতুন ব্যবস্থা চালু করবেন।
অন্য দিকে, এ দিন রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে আরও বেশি চিকিৎসক নিয়োগ করার কথা উঠেছে। আশিসবাবু জানান, চিকিৎসকের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য সচিব-সহ ডিরেক্টর অফ হেলথ্ সার্ভিস এবং স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানানো হবে। পাশাপাশি নার্সিং স্টাফ নিয়োগের ব্যাপারেও আবেদন জানানো হবে।
এ ছাড়াও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে আরও সিসিটিভি বসানোর ব্যাপারেও এ দিন সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে মোট ১৬টি সিসিটিভি রয়েছে। সেগুলি রামপুরহাট হাসপাতালের সুপারের অফিসঘর থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। এ দিনের বৈঠকে নতুন সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সামনে যাতে অস্থায়ী ভাবে দোকান না বসে, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়। বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও এসডিও, সিএমওএইচ, সুপার এবং অন্য সদস্যেরা ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy