Advertisement
E-Paper

সন্তান না হওয়ায় বধূ খুনের নালিশ

বিয়ের দীর্ঘদিন পরেও সন্তান না হওয়ায় বধূকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে নিতুড়িয়া থানার হিজুলি গ্রাম থেকে স্বামী হাঁসু মল্লিক ও শ্বশুর ভুতু মল্লিককে ধরেছে নিতুড়িয়া থানার পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ০০:৪০

বিয়ের দীর্ঘদিন পরেও সন্তান না হওয়ায় বধূকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে নিতুড়িয়া থানার হিজুলি গ্রাম থেকে স্বামী হাঁসু মল্লিক ও শ্বশুর ভুতু মল্লিককে ধরেছে নিতুড়িয়া থানার পুলিশ। এ দিন তাদের রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে হাঁসুর তিনদিনের পুলিশ হেফাজত হয়। তবে ভুতুকে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা হিয়েছে, গত ২৯ জুন হিজুলি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন ওই বধূ পুতুল মল্লিক (৩০)। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল আসানসোলের শাঁকতোড়িয়ায় ইসিএলের হাসপাতালে। পরে তাঁকে বোকারোর একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ২ জুলাই সেখানেই মৃত্যু হয় পুতুলদেবীর। প্রসঙ্গত বছর পনেরো আগে পেশায় দিনমজুর হাঁসুর সাথে বিয়ে হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের চিরকুণ্ডার বাসিন্দা পুতুলদেবীর। শনিবার বিকালে ওই বধূর ভাই অনন্ত মল্লিক নিতুড়িয়া থানায় দিদির স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে দিদিকে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। অনন্তবাবুর দাবি, ‘‘বিয়ের দীর্ঘ সময় পরেও সন্তান না হাওয়ায় দিদির উপরে অত্যাচার চালাত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনাটি দিদি আমাদের জানিয়েছিল। কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু খুন করে দেবে ভাবতে পারিনি।” পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, সন্তান না হাওয়াতেই তাঁর দিদিকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই স্বামী ও শ্বশুরকে ধরা হয়েছে। তবে বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। এ দিকে রবিবার সকালে পুরুলিয়া শহরের ধবকাটা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম নমিতা মোদক (১৮)। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে তাতে কী লেখা রয়েছে, জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মাস পাঁচেক আগে ধবকাটার বাসিন্দা পেশায় স্থানীয় একটি মুড়ি তৈরির কারখানার কর্মী আশিস মোদকের সঙ্গে বিয়ে হয় ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা নমিতাদেবীর। এ দিন সকালে বাড়ির একটি ঘরে ওই বধূর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শান্তিরাম গড়াইয়ের উপস্থিতিতে দেহটি উদ্ধার করা হয়।

Nituria House wife Raghunath pur dead body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy