সাদা মাস্ক পরে পুলিশের গাড়িতে আত্মঘাতী ব্যক্তির স্ত্রী নীলিমা মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। সেই ‘অপমানে’ আত্মঘাতী হলেন স্বামী। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষরা মারধর করে পুলিশের হাতে দিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ার কেন্দুয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল গৃহবধূ নীলিমা মণ্ডলের। তাঁর স্বামী জুরান মণ্ডল সম্প্রতি এই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন। এর পরই জুরান রবিবার সন্ধ্যায় একটি পুকুর পাড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। তিনি রং মিস্ত্রির কাজ করতেন।
এই ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাধারণ গ্রামবাসীদের একাংশ। মারধর করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকেও৷ খবর পেয়ে গ্রামে আসে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এবং নীলিমাকে পুলিশ আটক করে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
যদিও ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত নন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবির আলি বলেছেন, ‘‘রামকৃষ্ণ দাস এখন আর আমাদের দলের কেউ নন। আমরা আগেই ওঁকে দল থেকে বার করে দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy