Advertisement
E-Paper

সিসল ফার্ম বাঁচানোর ভাবনা রাজনগরে

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের সাফল্য দেখতে এ দিনই রাজনগরে আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্মসচিব (এনআরইজিএ) অপরাজিতা সারেঙ্গির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০০
পরিদর্শন: উদ্ভাবনী কাজ দেখতে রাজনগরে আমলারা। নিজস্ব চিত্র

পরিদর্শন: উদ্ভাবনী কাজ দেখতে রাজনগরে আমলারা। নিজস্ব চিত্র

এ বার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাজনগরের সিসল ফার্মকে বাঁচানোর ভাবনা শুরু হল। বুধবার বিকেলে রাজনগরে এ কথা জানান রাজ্যের এনআরইজিএ কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার।

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের সাফল্য দেখতে এ দিনই রাজনগরে আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্মসচিব (এনআরইজিএ) অপরাজিতা সারেঙ্গির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল। ছিলেন ৯টি রাজ্যের এক জন করে প্রতিনিধিও। তাঁদের সামনেই সিসল ফার্মকে বাঁচানোর প্রসঙ্গ ওঠে। দিব্যেন্দুবাবু জানান, তাঁরা দ্রুত এই ফার্মকে পুনরুজ্জীবত করার চেষ্টা করছেন।

‘ইন্টার স্টেট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে’ এর আওতায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের সঙ্গে সরকারি অন্য দফতরের মিলিত উদ্যোগে কী ‘উদ্ভাবনী’ কাজ হয়েছে তার সাফল্য খতিয়ে দেখতে বীরভূম পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় দলটি। ঘটনা হল, মঙ্গলবারই অপরাজিতা সারেঙ্গির নেতৃত্বে ১১ জন পদস্থ আধিকারিক এসেছেন রাজ্যে। সঙ্গে রয়েছেন ৯টি রাজ্যের পাঁচ জন করে সরকারি প্রতিনিধি। পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে ১২ জানুয়ারির মধ্যে পাঁচটি জেলায় ‘উদ্ভাবনী কাজে’র সাফল্য দেখবেন তাঁরা। সেই তালিকার মধ্যে ছিল বীরভূমও। বুধবার রাজনগরের পরে আজ, বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর ও বোলপুরে যাবে দলটি।

এ দিন সকালে জেলা প্রশাসনের কর্তা এবং দিব্যেন্দু সরকারের উপস্থিতিতে দলটি রাজনগরের হরিপুর মৌজার ভেষজ বাগান, সজনে বাগান, মহিষাগ্রামে ফলের বাগান সহ নানা ‘উদ্ভাবনী’ কাজ খতিয়ে দেখেন। শেষবেলায় সকলে সিসল ফার্মে যান। রাজনগরের কাজ দেখে খুশি হয়েছেন প্রতিনিধি দলটি, এ কথা জানাননোর পাশাপাশি সিসল ফার্মকে বাঁচানোর কথা জানান রাজ্যের এনআরইজিএ কমিশনার।

কী সেই ভাবনা?

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে সরকারি খামরটি তৈরি হয়েছিল। মূলত, সিসল গাছের আঁশ বা তন্তু থেকে এক সময় জাহাজ নোঙর করার দড়ি তৈরি হত। প্লাস্টিকের দড়ির ব্যবহার জনপ্রিয় হওয়ায় সরকারি খামার ২০০৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, এর তন্তু এতটাই শক্ত যে পাটের পরিবর্ত হিসেবে নানা ধরণের হাতের কাজ (ব্যাগ, পুতুল, ওয়াল হ্যাঙ্গিং, পাপোষ, দোলনা) করা সম্ভব। ‘ইন্টার স্টেট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে’ মধ্যপ্রদেশের ভোপালে গিয়ে সেই কাজই দেখে এসেছিলেন দিব্যেন্দুবাবু। তারপর থেকেই ওই সরকারি ফার্মটিকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে পুনরুজ্জীন দেওয়ার কথা ওঠে। এনআরইজিএ কমিশনার বলেন, ‘‘দুটি নতুন ও দু’টি পুরানো মেশিন দিয়ে আগামী দু’তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’’

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১১০০০ গাছের মধ্যে এই মূহূর্তে ১৫০০ গাছ রয়েছে। আঁশের জোগান পেতে ভিন্ রাজ্য থেকে সাড়ে ৯ হাজার সিসল চারা নিয়ে এসে লাগানো হবে ওই প্রকল্পেই।

Farm খামার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy