—নিজস্ব চিত্র
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে তিনি আর ফিরবেন না। বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেতা আবদুর মান্নান। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতির এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে শাসক শিবিরকে বিঁধতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।
সোমবার লাভপুরের দারকা গ্রামে স্থানীয় বিধায়ককে সংবর্ধনা দেওয়ার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মান্নান। ওই মঞ্চেই তৃণমূলে যোগ দেন স্থানীয় বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। বক্তৃতা করার সময়ে তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি থেকে যাঁরা যোগ দিলেন, তাঁদের কারও মধ্যে যেন আর বিজেপি-র সত্তা না থাকে। সবাই মিলে হাততালি দিয়ে বলুন, আমরা আজ থেকে সবাই তৃণমূল।’’ ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আর দেড় বছরের মধ্যে ভোট। আমরা প্রত্যেক বুথে বুথে একজন করে প্রার্থী ঠিক করব। ওই ভোটে আমার-তোমার বলে কিছু থাকবে না। সব প্রার্থীই তৃণমূলের হবে। অন্য কেউ যদি মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান, তা হলে তিনি আর লাভপুর থেকে ফিরে আসবেন না।’’
তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বোলপুরের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যে দলটি পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকারকে খর্ব করে দলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করতে চায়, সেই দলের নেতা এই কথা বলবেন এটা খুব স্বাভাবিক। গত পঞ্চায়েত ভোটেও তাঁরা এটা করেছিলেন। তার পরও বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। মানুষকে সন্ত্রস্ত করলে মানুষ তার জবাব দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy