দোকান দখল করে অভিযোগকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া স্টেশন এলাকার এক ব্যবসায়ী ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বেঁধেছিল ছোট ভাড়াগাড়ির চালকদের। রবিবারের সেই ঘটনাই বাঁকুড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার জবরদখলের ছবিটা ফের তুলে ধরেছে। ঘট নার পর দিনই তাই স্টেশন সংলগ্ন অবৈধ দোকান ভাঙতে নামলেন রেল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকাল থেকেই রেলরক্ষী বাহিনী বা আরপিএফের তরফে এলাকায় মাইকিং করে রেলের জমি দখল করে যে সব অবৈধ দোকান চলছে, তা ভেঙে ফেলা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণা শুনেই ব্যবসায়ীরা যে যাঁর মতো দোকান থেকে মালপত্র বের করে নেন। বেলা গড়াতেই বুলডোজার নিয়ে আরপিএফের নেতৃত্বে জবরদখল করে থাকা স্টেশন সংলগ্ন গোটা চল্লিশেক ঝুপড়ি দোকান ভেঙে ফেলা হয়। ভাড়াগাড়ির চালকদের সংগঠনের তরফে একটি অফিসও গড়া হয়েছিল রেলের জায়গায়। সেটিও উচ্ছেদ করা হয়েছে এই অভিযানে। ওই অফিসের সামনেই রেলের ফাঁকা জায়গা ভাড়াগাড়ির স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছিলেন চালকেরা। সেই স্ট্যান্ডটিকেও বেআইনি জানিয়ে গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন বাঁকুড়ার ওসি (আরপিএফ) বি কে সিংহ।
শনিবার রাত থেকেই স্টেশন সংলগ্ন একটি চা দোকান দখল করে নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনার শুরু। কয়েক বছর ধরে ওই চা দোকানটি চালাতেন সুখদেব সিংহ। তবে টানা কয়েক মাস তিনি দোকান খোলেননি। শনিবার রাতে দোকানে এসে দেখেন স্টেশনের ভাড়াগাড়ির চালকেরা ওই দোকান দখল করে সংগঠনের অফিস ঘর তৈরি করে ফেলেছেন। এর পরেই আরপিএফ থানায় ঘটনাটি জানালে আরফিএফ কর্তৃপক্ষ ওই দোকান থেকে গাড়ির চালকদের সংগঠনের লোকজনকে হটিয়ে দেয়।