E-Paper

বিরোধ মিটেছে, বৈঠক শেষে দাবি বিকাশদের

তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতার বিশেষ অধিবেশনের ফাঁকে খয়রাশোলের দ্বন্দ্ব মেটাতে বলা হয় কোর কমিটিকে। এর পরেই কলকাতায় বৈঠকে বসেন কোর কমিটির সদস্যেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৬
খয়রাশোলের দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য সিউড়ির দলীয় কার্যালয়ে ঢুকছেন শতাব্দী রায় ও বিকাশ রায়চৌধুরী।

খয়রাশোলের দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য সিউড়ির দলীয় কার্যালয়ে ঢুকছেন শতাব্দী রায় ও বিকাশ রায়চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।

খয়রাশোলে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বড় ‘মাথাব্যথা’। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে ঐক্যের বার্তা দিতে শনিবার ব্লক সভাপতি ও তাঁর ‘বিরোধী’ গোষ্ঠীকে ডেকে পাঠানো হল সিউড়ির দলীয় কার্যালয়ে। সেখানেই বৈঠকে ঠিক হল, আগামী ২ ডিসেম্বর খয়রাশোলের গোষ্ঠ মাঠে বিজয়া সম্মিলনী করবে তৃণমূল। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ব্লক সভাপতি ও তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী মিলিয়ে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

এ দিন খয়রাশোল নিয়ে হওয়া ‘বিশেষ’ বৈঠকে কোর কমিটির তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংসদ অসিত মাল ও শতাব্দী রায় এবং দুই বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও অভিজিৎ সিংহ। এ ছাড়া বৈঠকে ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বিশ্ববিজয় মার্ডি। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, খয়রাশোলের সাংগঠনিক বিষয়ে যুযুধান যে পক্ষের যা বক্তব্য, তা ২ তারিখের বিজয়া সম্মিলনীর পরেই শোনা হবে। এ দিন বৈঠকের পরেও অবশ্য ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীকে নিয়ে অসন্তোষ চেপে রাখেননি বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে খয়রাশোলে ব্লক সভাপতি ও তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ব্লক সভাপতির ডাকা একাধিক বৈঠকে গরহাজির থেকেছে অপর গোষ্ঠী, এমনকি দলীয় বৈঠকেও দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়নি। কয়েক সপ্তাহ আগে আক্রান্ত হন ব্লক সভাপতি। দলের লোকেরাই আক্রমণ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন৷ এই পরিস্থিতিতে জেলার সমস্ত ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী হলেও শুধুমাত্র খয়রাশোলে তা করা যাচ্ছিল না।

তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতার বিশেষ অধিবেশনের ফাঁকে খয়রাশোলের দ্বন্দ্ব মেটাতে বলা হয় কোর কমিটিকে। এর পরেই কলকাতায় বৈঠকে বসেন কোর কমিটির সদস্যেরা। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ দিন ডেকে পাঠানো হয় খয়রাশোলের দুই গোষ্ঠীকে। বৈঠক শেষে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “পরিবারের মধ্যে ভাইয়ে ভাইয়ে কিছু মতের অমিল থাকে। তবে যেটুকু যা বিরোধ ছিল, তা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে৷ ২ ডিসেম্বর খরাশোলের মানুষ দেখিয়ে দেবে তারা তৃণমূলের সঙ্গে ছিল, আছে, থাকবে।” একই সুরে শতাব্দী বলেন, “মতপার্থক্য, মতবিরোধ থাকতেই পারে। হয়তো তার কিছু বহিঃপ্রকাশ অন্য ভাবে হয়েছে, কিন্তু এখন আর হবে না। ২ তারিখ খয়রাশোলে গেলে দেখতে পাবেন সকলে এক হয়েই কাজ করছে।’’

খরাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী বলেন, “বিজয়া সম্মিলনীতে আমরা এক সঙ্গেই থাকব। পুরনো বিষয় নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না৷ আমাদের দ্বন্দ্ব মিটেছে।” ব্লকের অন্য নেতা ও কাঞ্চন-বিরোধীহিসাবে পরিচিত উজ্জ্বল হক কাদেরি বলেন, “খররাশোলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিজয়া সম্মিলনীর কমিটিতে আমাদের পাঁচ জন আর ব্লক সভাপতি থাকবেন৷ সকলে মিলে আয়োজন করব।” ব্লক সভাপতির উপররে আক্রমণ প্রসঙ্গে উজ্জ্বলের দাবি, “আমাদের দলের কেউ ওঁকে মারেনি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suri TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy