Advertisement
E-Paper

টাকা যাচ্ছে কোথায়, প্রশ্নে পঞ্চায়েতে তালা

পঞ্চায়েতে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বরাবাজারের সিন্দরি পঞ্চায়েতে তালা ঝোলালেন বাসিন্দারা। পিছনে ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবারের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৮:৩০
বরাবাজারের সিন্দরি পঞ্চায়েতে তখনও ঝুলছে তালা। নিজস্ব চিত্র

বরাবাজারের সিন্দরি পঞ্চায়েতে তখনও ঝুলছে তালা। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েতে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বরাবাজারের সিন্দরি পঞ্চায়েতে তালা ঝোলালেন বাসিন্দারা। পিছনে ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবারের ঘটনা।

সিন্দরি পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপি কর্মী আলোক মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘এই পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প-সহ নানা ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে। সে জন্য প্রতিবাদ জানাতে স্থানীয় বাসিন্দারাই পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে ছিলাম।’’ দলের আরও এক কর্মী রূপচাঁদ মাহাতোর দাবি, ‘‘সিন্দরি পঞ্চায়েতে এক জনের নামে বরাদ্দ টাকা অন্য লোক পেয়েছেন। আমরা অভিযোগ জানালেও এত দিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার প্রতিবাদেই তালা দেওয়া হয়েছে।’’

বর্তমানে এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় তৃণমূল। কিন্তু, সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূল সমান সংখ্যক আসন পেয়েছে। রাজনীতি সচেতন মানুষজনের মতে, বোর্ড গঠনের আগে এ বার তাই শাসকদলকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে বিজেপি এলাকায় আন্দোলন শুরু করেছে।

বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, জিলিং গ্রামের এক ব্যক্তির নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। অথচ তিনি টাকা পাননি। পরিবর্তে অন্য লোককে টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এ রকম ফতেপুর গ্রামেরও কয়েক জনের নামে ঘর বরাদ্দ হলেও তাঁরা টাকা পাননি। এমনকী তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) আবেদন করেও তাঁরা পঞ্চায়েত থেকে তথ্য পাননি বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্রকৃত প্রাপকদের হাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা ফেরতের দাবি তুলেছেন।

এ দিন অফিস খোলার আগেই পঞ্চায়েতের মূল গেটে বাসিন্দাদের একাংশ তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, মানবাজার-বরাবাজার রাস্তার উপরে বরাবাজারের সিন্দরি পঞ্চায়েতের মূল গেটে তালা ঝোলানো আছে। বেনিয়মের অভিযোগে হাতে লেখা পোস্টার সাঁটানো দরজায়। বাইরে বিজেপির নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পুলিশ গিয়ে রাস্তা থেকে জমায়েত সরিয়ে দেয়।

পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘আমি জেলার বাইরে আছি। শুনেছি কিছু লোকজন পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে অভিযোগ থাকলে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। কিন্তু, এ ভাবে তালা ঝুলিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি হয় না।’’

বিডিও (বরাবাজার) শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অফিস তালা দিয়ে তাঁরা ঠিক কাজ করেননি। পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, ব্লক অফিসে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দিতে পারতেন।’’ বরাবাজার ব্লক অফিসের আধিকারিক গিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর তিনটে নাগাদ পঞ্চায়েত অফিসের তালা খুলে দেওয়া হয়।

Village Panchayat Sindri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy