— নিজস্ব চিত্র।
হাই কোর্টের নির্দেশে সোমবার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন। কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুই দুলই ক্ষমতা দখলের বিষয়ে আশাবাদী। ভাঙন রুখতে কংগ্রেস আগেভাগেই কাউন্সিলরদের গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, ভোট ঘিরে কাউন্সিলর ‘কেনাবেচা’ হতে পারে। কংগ্রেস জানিয়েছে, তৃণমূলের হাত থেকে কাউন্সিলরদের বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়েছে, নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কংগ্রেস।
সোমবার পুরুলিয়ায় ঝালদায় পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন। ঘটনাচক্রে, সোমবারই আখ্যান যাত্রা অর্থাৎ মাঘমাসের প্রথম দিন। পুরুলিয়া-সহ গোটা রাজ্যবাসীর কাছে এই দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দিনটিকে শুভ সূচনার দিন হিসাবে ধরা হয়। তাই এই আখ্যান দিবসে কোন দলের শুভ সূচনা হতে চলেছে, তা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন তৃণমূল, কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থক-সহ সাধারণ পুরুলিয়াবাসী।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, তৃণমূল যাতে কাউন্সিল ভাঙাতে না পারে, তাই ৫ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং দুই নির্দলকে গোপন ডেরায় রেখেছে দল। ঝালদায় এক কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়িতেই রয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতো। সোমবার সেখান থেকেই সরাসরি ভোট দিতে যাবেন কাউন্সিলররা।
এই প্রসঙ্গে নেপাল মাহাত বলেন, ‘‘কী আর করব বলুন, রাজশক্তির সঙ্গে তো আর ছলাকলা ও মারপ্যাঁচে পেরে উঠব না! তাই আমরা সকলেই এক জায়গায় রয়েছি। আমিও তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।’’ তবে শেষ পর্যন্ত সোমবার শেষ হাসি যে কংগ্রেসই হাসবে, সে বিষয়ে প্রত্যয়ী নেপাল। অন্য দিকে নেপালের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের নিজেদের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। কে কুর্সিতে বসবেন, তাই নিয়ে কোন্দল চলছে। তাই তাঁরা গোপন ডেরাতে রয়েছেন। আমরা তো প্রথম থেকেই চেয়েছি সব কিছু শান্তিপূর্ণ হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy