Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Jhalda Municipality

জট খুলবে কী ভাবে, প্রশ্নে ঝালদাবাসী

মঙ্গলবার শীলা চট্টোপাধ্যায় পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে পুরবাসীদের একাংশ ভেবেছিলেন, টানা তিন মাস পরে এ বার ঝালদা পুরসভার অচলাবস্থা বুঝি কাটল।

পুরপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন সুদীপ কর্মকার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

পুরপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন সুদীপ কর্মকার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় 
ঝালদা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৩
Share: Save:

ফের কি জটিলতার মেঘ ঘনাল ঝালদায়? গত এক দশকে বারবার অনাস্থা ভোটে পুরপ্রধানদের সরতে দেখা ঝালদাবাসীর দাবি, এ বার যেন অন্যরকম লড়াই চলছে। কিছুতেই ছেদ পড়ছে না। দক্ষ দাবাড়ুর মতো একের পর এক চাল দিয়ে যাচ্ছে যুযুধান দু’পক্ষ। কিন্তু এর জেরে শহরের উন্নয়ন প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়েছে বলে মনে করছেন পুরবাসীদের একাংশ। আবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পুরকর্মীদের অনেকে।

মঙ্গলবার শীলা চট্টোপাধ্যায় পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে পুরবাসীদের একাংশ ভেবেছিলেন, টানা তিন মাস পরে এ বার ঝালদা পুরসভার অচলাবস্থা বুঝি কাটল। তবুও সংশয়ে ছিলেন কিছু বাসিন্দা। তাঁদের মনে হয়েছিল, পুরসভার ক্ষমতা দখলকে ঘিরে হাই কোর্টে দায়ের করা মামলার কিছু এখনও অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে। সে সব থেকে নতুন কী জট বেরোয় কে জানে!

আজ, শুক্রবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূলের দায়ের করা একটি মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগেই বুধবার শীলার পুরপ্রতিনিধি পদ বাতিল করে প্রশাসন। সে খবর বৃহস্পতিবার বেলায় ছড়িয়ে পড়তেই ফেল দোলাচলে পড়ে যান ঝালদাবাসী। বিকেলে ঝালদার পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেন প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার। কিন্তু কংগ্রেস হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ফের তারা আদালতে যাচ্ছে।

ঝালদা শহরের বাসিন্দা বিমল চন্দ্র বলেন, ‘‘কয়েক মাস ধরে আমাদের পুরসভায় যা চলছে, তা নিয়ে ফোন করে আত্মীয়েরা হাসাহাসি করছেন। এর শেষ কোথায়? সদুত্তর নেই কারও কাছেই।’’ অনেক পুরবাসীর দাবি, জল সরবরাহ, নালা ও আবর্জনা সাফাইয়ের মতো জরুরি পরিষেবা পুরকর্মীরা করছেন ঠিকই, কিন্তু পুরসভা কার্যত ‘মাথাহীন’ হয়ে থাকায় উন্নয়নের কোনও কাজ হচ্ছে না। পুরসভার বোর্ডের বৈঠকও হচ্ছে না। ফলে নতুন কোনও কাজের সিদ্ধান্তও নেওয়া যাচ্ছে না।

মামলার জেরে সম্প্রতি হাই কোর্ট পুরুলিয়ার জেলাশাসককে এক মাসের উপর ঝালদা পুরসভার কাজকর্ম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। সে সময় বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে পুরকর্মীরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপরে বেতন মেলে। আবার নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়ে ফের সেই রকম পরিস্থিতি তৈরি হবে না তো, আতঙ্কে ভুগছেন পুরকর্মীদের একাংশ। তবে প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুরকর্মীরা। যদিও প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের সুরেশ আগরওয়ালের দাবি, ‘‘আর কোনও সমস্যা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jhalda Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE