পুরুলিয়ার জঙ্গলে বন দফতরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় একসঙ্গে ধরা পড়ল দু’টি চিতাবাঘের ছবি! এর ফলে পুরুলিয়ার জঙ্গলে বন দফতরের চিহ্নিত চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল পাঁচ। চিতাবাঘদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই জঙ্গলে ইতিমধ্যে নজরদারিও বৃদ্ধি করেছে বন দফতর।
বছর তিনেক আগে পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের অন্তর্গত জঙ্গলে প্রথম চিতাবাঘের খোঁজ মেলে। ওই সময় বন দফতরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় জোড়া চিতাবাঘের দেখা মিলেছিল। দু’টিই ছিল পূর্ণবয়স্ক, একটি পুরুষ এবং অন্যটি স্ত্রী। চিতাবাঘের দর্শন মেলার পরই পুরুলিয়ার জঙ্গলে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করে বন দফতর। তাতে জানা যায়, ওই স্ত্রী চিতাবাঘটি একাধিক শাবকের জন্ম দিয়েছে কোটশিলার জঙ্গলেই। সেই শাবকগুলি এখন কিছুটা বড় হয়েছে। তা ছাড়া অন্য জায়গা থেকে একটি চিতাবাঘও পুরুলিয়ার জঙ্গলে এসেছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। সম্প্রতি ক্যামেরাবন্দি হওয়া ছবি এবং বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে বন দফতর মনে করছে, বর্তমানে পুরুলিয়ার কোটশিলার জঙ্গলে অন্তত পাঁচটি চিতাবাঘ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত বছর ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক মহিলা বাঘ ‘জ়িনত’ পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে চলে আসে। পরে সেই বাঘটি আশ্রয় নেয় পুরুলিয়ার বনাঞ্চলে। বেশ কিছু দিন পুরুলিয়ার বনে ঘোরার পরে বাঁকুড়ায় গিয়ে খাঁচাবন্দি হয় বাঘটি। পুরুলিয়ার বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) অঞ্জন গুহ বলেন, “গত কয়েক দশকে পুরুলিয়ায় বনাঞ্চলের ঘনত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তার ফলে বাঘ বা চিতাবাঘের মতো বিড়াল জাতীয় প্রাণীগুলি পুরুলিয়ার জঙ্গলগুলিকে নিরাপদ বলে মনে করতে শুরু করেছে। বারংবার বাঘ চলে আসা বা চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি তারই প্রমাণ। আর এ ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলির মানুষের বন ও বন্যপ্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা।”