Advertisement
০৮ অক্টোবর ২০২৪
Rampurhat Hospital

এসএনসিইউতে ডাক্তার মাত্র এক, শুনলেন শতাব্দী

সাধারণত আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা সদ্যোজাতদের পরিচর্যার জন্য সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ বিভাগ খোলা হয়। রামপুরহাট মেডিক্যালে এসএনসিইউ বিভাগে ৩৮টি শয্যা।

An image of garbage

বহির্বিভাগের প্রবেশপথে জঞ্জাল জমে। নজর নেই রামপুরটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। নিজস্ব চিত্র।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ০৭:৫৯
Share: Save:

থাকার কথা আট জনের। সেখানে আছেন মাত্র এক জন চিকিৎসক। এমনই অবস্থা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে। বুধবার দুপুরে সাংসদ শতাব্দী রায় হাসপাতালে গেলে তাঁর কাছে পরিকাঠামোগত উন্নতির পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগে কর্মী এবং চিকিৎসকের অভাব নিয়ে অভিযোগ করেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস। বিষয়গুলি নিয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন শতাব্দী।

সাধারণত আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা সদ্যোজাতদের পরিচর্যার জন্য সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ বিভাগ খোলা হয়। রামপুরহাট মেডিক্যালে এসএনসিইউ বিভাগে ৩৮টি শয্যা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বাস্তবে এসএনসিইউ বিভাগে ৩৮টির জায়গায় ৫০-৬০টি শিশু রাখতে হয়। অথচ সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের ব্যাবস্থা নেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএনসিইউ বিভাগ চালাতে গেলে কমপক্ষে ৫ জন চিকিৎসক দরকার। রামপুরহাট মেডিক্যালে যেমন রোগীর চাপ, সেখানে আট জন চিকিৎসক দরকার। সেখানে মাত্র ১ জন চিকিৎসক রয়েছেন।

রামপুরহাট মেডিক্যালের শিশু বিভাগের প্রধান অনীশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এপ্রিল মাসে ২ হাজার ৪০০ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। অর্থাৎ গড়ে দৈনিক ৮৪ জন করে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। হাসপাতালে মাত্র একজন প্রফেসর, একজন সহকারী প্রফেসর আর দুজন আরএমও। আর দু-একজন মেডিক্যাল অফিসার আছেন। এ ভাবে একটা বিভাগ চলে না। হাউস স্টাফ দিয়ে ম্যানেজ করে চালাতে হচ্ছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশু বিভাগের জন্য বছর দেড়েক আগে ৫ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ সরকারি নির্দেশ মানেননি।

হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, ‘‘৮ জনের জায়গায় মাত্র এক জন চিকিৎসক দিয়ে এসএনসিইউ-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালাতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে। বুধবার সাংসদ শতাব্দী রায়কেও একই কথা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নিকাশি সমস্যা দূর করা নিয়েও দাবি ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার কথাও জানানো হয়েছে।’’ শতাব্দী বলেন, ‘‘নিকাশি সমস্যা-সহ পরিকাঠামো গত উন্নতির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মীর অভাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সব কিছু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেজানানো হবে।’’

মেডিক্যাল থেকে বেরিয়ে শতাব্দী রামপুরহাট ২ ব্লকের বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতে যান। সেখানে মাড়গ্রাম থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের উদ্বোধন করেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারি দিদির দূত কর্মসচিতে সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনে বেহাল রাস্তা নিয়ে মেলেরডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। তারপরেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে তৎপরতা দেখা যায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Rampurhat Hospital Doctors Crisis Shatabdi Roy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE