Advertisement
E-Paper

সুব্রতকে টানল সুলতান

ধীরেনবাবু বলেন, ‘‘এতদিন সুব্রতদা হুডখোলা গাড়িতে চড়েই প্রচার করেছেন। এ দিন কর্মীদের আবদারে তিনি এক্কাগাড়িতে চড়েন। তাতে প্রচারে ভালই সাড়া পাওয়া গিয়েছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:০১
টগবগ: হুডখোলা গাড়ি ছেড়ে হিড়বাঁধের নন্দা গ্রামে এক্কাগাড়িতে চড়ে বসলেন তৃণমূল প্রার্থী। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়

টগবগ: হুডখোলা গাড়ি ছেড়ে হিড়বাঁধের নন্দা গ্রামে এক্কাগাড়িতে চড়ে বসলেন তৃণমূল প্রার্থী। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়

অন্যের ভাগ্য ফেরাতে আদরের ঘোড়া সুলতানকে নিয়ে নাল ও আংটি বিক্রি করতে বেরিয়েছিলেন কালু শেখ। বিক্রিবাটা তেমন হচ্ছিল না বলে মনটা তাঁর ভার। জানতেন না হিড়বাঁধের নন্দা গ্রামে তাঁরই ভাগ্য ফিরতে চলেছে। অন্তত, একটা দিনের জন্য।

অন্যদিনের মতো হুডখোলা গাড়িতেই এ দিন হিড়বাঁধে প্রচারে গিয়েছিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি নন্দা গ্রামে পৌঁছতেই কর্মী-সমর্থকেরা ঘিরে ধরে আবদার করেন, ‘‘দাদা সামনেই ওই এক্কাগাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে ওই এক্কাগাড়িতে চড়ুন। তা হলে প্রচার জমে যাবে।’’

ভোটের প্রচারে বেরিয়ে কত আবদারই রাখতে হচ্ছে। অগত্যা সুব্রতবাবুও রাজি হয়ে যান। প্রার্থীকে এক্কাগাড়িতে চড়তে দিয়ে মোট ভাড়া পাওয়া যাবে শুনে কালুর তো হাতে চাঁদ পাওয়ার অবস্থা।

সুলতানের এক্কাগাড়িতে চড়ে বসেন সুব্রতবাবু। কিছুক্ষণ নন্দা গ্রামে ঘোড়ায় চড়েই তিনি প্রচার চালালেন। সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, হিড়বাঁধ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ মাজি প্রমুখ। ধীরেনবাবু বলেন, ‘‘এতদিন সুব্রতদা হুডখোলা গাড়িতে চড়েই প্রচার করেছেন। এ দিন কর্মীদের আবদারে তিনি এক্কাগাড়িতে চড়েন। তাতে প্রচারে ভালই সাড়া পাওয়া গিয়েছে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিমলাপাল থানা থেকে বেরিয়ে আসছেন বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা ঘোড়ার মালিক কালু বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘোড়ার নাল ও আংটি বিক্রি করে দিনে বড়জোর দুশো টাকার নাল ও আংটি বিক্রি হয়। এ দিন সুব্রতবাবুকে চাপিয়ে ৫০০ টাকা পেয়েছি। দিনের শুরুতেই মোটামুটি ব্যবসা ভালই হয়েছে।’’

নন্দা গ্রাম থেকে বেরিয়ে ফের হুডখোলা গাড়িতে চড়ে সুব্রতবাবু ঝরিকচিয়া, গোপালপুর-সহ একাধিক গ্রামে রোড শো করেন। বিকেলে হিড়বাঁধে জনসভা ও সান্ডি, ভোজদা, জামডহরা-সহ একাধিক গ্রামে রোড শো করেন।

সুব্রতবাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী সুভাষবাবু এ দিন তালড্যাংরা বিধানসভা এলাকায় প্রচারে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি এ দিন তালড্যাংরা বিধানসভা এলাকায় প্রচার চালাবেন বলে নির্দিষ্ট অ্যাপে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিনা কারণে তাঁকে প্রথমার্ধে ওই বিধানসভার অধীন সিমলাপালে প্রচারের অনুমতি দেয়নি।

কর্মীদের নিয়ে সুভাষবাবু সিমলাপাল থানায় যান। প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান কিছুক্ষণ।

সুভাষবাবুর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ পক্ষপাত করে প্রথর্মাধে আমাকে সিমলাপালে প্রচারের অনুমতি দেয়নি। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’’ তবে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও সুভাষবাবুর তোলা পক্ষপাতের অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘কী সমস্যা হয়েছে, খোঁজ নিচ্ছি।’’

দুপুরের পরে অবশ্য সুভাষবাবু সিমলাপাল ব্লকের দুবরাজপুর, বিক্রমপুর, লক্ষ্মীসাগর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে রোড-শো করেন। সকালের দিকে গিয়েছিলেন তালড্যাংরার পাঁচমুড়া, ফুলমতি প্রভৃতি এলাকায়।

Subrata Mukherjee Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯ TMC BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy