বান্টি ভুঁইমালি।
সাঁইথিয়া স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত ডাক্তার অনাথবন্ধু আচার্য ও দুঃখহরণ সাধু স্মৃতি রানার্স লীগ কাম নক্ আউট টুর্নামেন্টের ফাইনালে টাইব্রেকারে রামপুরহাট কোচিং সেন্টারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ঘরে তুলল মাড়গ্রাম সোনালি স্পোর্টিং।
বৃহস্পতিবার ফাইনাল খেলা শুরু হওয়ার আগে অনাথবন্ধুবাবু ও দুঃখহরণ বাবুর স্মৃতির উদ্দেশ্য ঘোষক অমর চট্টপাধ্যায়ের প্রস্তাবে মাঠে উপস্থিত সকলে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ দিন প্রধান অতিথি হিসাবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার প্রথম ডিভিসনের প্রাক্তন খেলোয়াড় তথা সাঁইথিয়ার ভূমিপুত্র সৌমেন মিত্র বা এই মাঠের দুলালদা। ফাইনাল খেলা উপলক্ষে মাঠে এ দিন প্রচুর দর্শক হয়েছিল। খেলার প্রথমার্ধে বিট্টু ভুইমালির দেওয়া গোলে রামপুরহাট এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে মাড়গ্রামের হয়ে গোল শোধ করেন দীপঙ্কর মাল্লাইয়া। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খেলার ফলাফল ১-১ থাকে। অতিরিক্ত ৫-৫ দশ মিনিটেও খেলার নিস্পত্তি না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত ভাল খেলেও খেলোয়াড়দের লক্ষভ্রষ্ট পেনাল্টি কিকের জন্য রানার্স হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় রামপুরহাটকে।
বিরতির সময় সৌমেনবাবুকে তাঁর অগ্রজ প্রাক্তন ফুটবলার তথা টুর্নামেন্ট আয়োজক সংস্থার সভাপতি শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক পিনাকীলাল দত্ত ও অনাথবন্ধুবাবুর পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ বাণী আচার্য সংবর্ধনা দেন। এ দিনের খেলায় ম্যান অফ দি ম্যাচ হয়েছেন মাড়গ্রামের বরুণ লোহার। আর ম্যান অফ দি টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রামপুরহাটের বান্টি ভুইমালি। এ দিনের ম্যাচ পরিচালনা করেন শুভেন্দু মজুমদার।
দুই দলের হাতে উইনার্স ও রানার্স ট্রফি তুলেদেন পুর প্রধান বিপ্লব দত্ত, সৌমেন মিত্র, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চন্ডীচরন সাধু, শিক্ষক পিনাকী রায়, শ্যামল রায়-সহ উপস্থিত বহু বিশিষ্ট মানুষজন ও কাউন্সিলাররা। এ দিন খেলা শেষে সাঁইথিয়া স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পিনাকীলাল দত্ত ঘোষনা করেন, ‘‘আগামি সেপ্টেম্বর থেকে সাঁইথিয়ার ঐতিহ্যবাহী নন্দেকেশ্বরী শিল্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবে। কলকাতা-সহ সারা রাজ্য ও আশপাশ রাজ্যের ভাল ভাল দল ওই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে।’’
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy