পরিদর্শন: রজতপুরে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধির সফরের পরপরই বোলপুরের রজতপুরে নির্যাতিতা তরুণীর বাড়িতে গেলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার এর আগে তাঁরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। কথা বলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার অমিত মজুমদারের সঙ্গে। অমিতবাবু জানান, হাসপাতালের কাছে রজতপুর সম্পর্কিত নথিপত্রের প্রতিলিপি ওই প্রতিনিধিদলকে দেওয়া হয়েছে।
নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে আত্মঘাতী তরুণীর মা, বাবা ও দাদার সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। নির্যাতিতার মা তাঁদের বলেন— ‘‘দোষী ছাড়া পেলে আমি গলায় দড়ি দেব।’’ লীনাদেবী পরে বলেন, ‘‘ওই তরুণীর পরিবার আমাদের ডাকেননি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এসেছি। এই ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া উচিত।’’ তিনি জানিয়েছেন, আসল নথি না থাকলেও পুলিশ প্রশাসনকে নতুন নথি তৈরি করে ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। দু’টি হাসপাতালে গিয়েই নির্যাতিতার চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত নথির প্রতিলিপি নেওয়া হয়েছে। লীনাদেবী জানিয়েছেন, বোলপুর হাসপাতালের আধিকারিক তাঁদের জানিয়েছেন— গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ওই তরুণীর চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো সেখানে ছিল না। পরিবারও চেয়েছিল তাঁকে বর্ধমানে নিয়ে যেতে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে ওই তরুণী গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তার ও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দেন নির্যাতিতা। ওই ঘটনায় মৃল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy