প্রতীকী ছবি
সিউড়ির পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী আবাসের কোয়রান্টিন সেন্টারে চুরির ঘটনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশের দিকে সন্দেহ পুলিশের। অন্য দিকে, বোলপুরের একটি কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যেই এক জন বাকি কয়েক জনের মোবাইল হাতিয়েছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থানার মুলুক গ্রামে থাকা একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কয়েকটি ঘর নিয়ে সরকারি নিভৃতবাস তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত রয়েছেন প্রায় ৮৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরেই ওই শ্রমিকদের কিছু না কিছু জিনিস খোয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ। শ্রমিকদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ প্রথমে এক পরিযায়ী শ্রমিক লক্ষ্য করেন, তাঁর মোবাইল ফোনটি উধাও। তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাকি পরিযায়ী শ্রমিকেরাও তাঁদের মোবাইলগুলির খোঁজ করতে শুরু করেন। তখনই দেখা যায় ওই নিভৃতবাস থেকে ৬ জনের মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর পরেই শ্রমিকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তড়িঘড়ি পুলিশ-প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতেই ওই নিভৃতবাসে পুলিশ গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। সেখানে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে এক জনকে সন্দেহ হয় পুলিশের। পুলিশের দাবি, বুধবার ওই পরিযায়ী শ্রমিককে জেরা করলে তিনি তাঁর দোষ কবুল করে ছ’টি মোবাইলই ফেরত দিয়ে দেন। পুলিশ অবশ্য ওই শ্রমিককে এখনও গ্রেফতার করেনি। সূত্রের খবর, ওই সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা বেশ ক’দিন আগে নেওয়া হলেও কলকাতার নাইসেড থেকে এখনও সেই রিপোর্ট আসেনি।
খোয়া যাওয়া মোবাইল ফিরে পেলেও পুরোপুরি চিন্তা মুক্ত এখনই হতে পারছেন না পরিযায়ী শ্রমিকেরা। ফের জিনিস খোয়া যাবে না তো—এই ভয় ঢুকে পড়েছে তাঁদের মনে। এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘আমরা বাইরে থেকে এসেছি। হাতে কাজকর্ম নেই। এই রকম অবস্থায় নিভৃতবাসে এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে তা খুবই চিন্তার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy