সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ন’বছরের ছেলেটি। তার পর থেকেই সে নিখোঁজ। সে দিনই বিকেলের দিকে গ্রামের একটি রাস্তায় রক্তের দাগ দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। নিখোঁজ ছেলেটির পরিজনদের আশঙ্কা, রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল সেখানে। ঠিকাদার সংস্থারই কোনও গাড়িতে চাপা পড়ে ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। তার পরে দেহ লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ।
ঘটনাটি মুরারই থানার ভাদিশ্বর গ্রামে। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ ছেলেটির নাম সাহিল শেখ। সে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
এলাকাবাসীর একাংশের আশঙ্কা, ভাদিশ্বর থেকে সাফুয়া গ্রামে যাওয়ার রাস্তা তৈরির কাজ চলছে ওই গ্রামে। নির্মাণকারী সংস্থার কোনও গাড়ির ধাক্কাতেই সম্ভবত সাহিলের মৃত্যু হয়েছে। জনরোষের আশঙ্কায় তার দেহ লোপাট করেছে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা।
প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন নিখোঁজ ছেলেটির পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি মেনে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, ছেলেটির কোনও হদিস এখনও মেলেনি।
সাহিলের পিসি রেশমি বিবি বলেন, ‘‘গত কাল সকালে ছাগল নিয়ে মাঠে গিয়েছিল। বেলা ১১টা নাগাদ বাড়িতে ফিরে ফের মাঠে চলে যায়। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি। বিকেলের দিকে ওই মাঠের পাশেই রাস্তার ধারে রক্তের দাগ দেখা যায়। পুলিশ ওকে খুঁজে পায়নি।’’ তাঁর দাবি, মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ভাইপোকে না পাওয়া গেলে বুধবার বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবে গোটা গ্রাম। তাঁর কাছে সাহায্যের আর্জি জানাব।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সন্ধ্যায় গ্রামবাসীরা মুরারই থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা দাবি তোলেন, পুলিশ না পারলে সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হোক। এক ঘণ্টা বিক্ষোভের পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা গ্রামে ফিরে যান।
পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে। ওই ঠিকাদার সংস্থার চার অস্থায়ী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হলেও তেমন সূত্র মেলেনি। এলাকার বিভিন্ন পুকুরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গ্রাম সূত্রে খবর, একটি পুকুর থেকে একটি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সেটি নিয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy