E-Paper

দুই বিষয়ের শিক্ষিকা থাকলেন না, উদ্বেগ

স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ থাকবে কিনা মুশকিল।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১৭
চিন্তিত প্রধান শিক্ষিকা। শুক্রবার নলহাটি হাই স্কুল ফর গার্লসে।

চিন্তিত প্রধান শিক্ষিকা। শুক্রবার নলহাটি হাই স্কুল ফর গার্লসে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম ।

অনুমোদিত ৪১ শিক্ষিকার পদ। ছিলেন ২৩ জন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে আরও ৮ জনের। বর্তমানে প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে নলহাটি হাই স্কুল ফর গার্লসের শিক্ষিকা সংখ্যা ১৫।

এক ধাক্কায় ৮ জন শিক্ষিকার কাজ যাওয়ায় মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা স্কুল কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা দত্তের মুখে চোখে চিন্তার ছাপ। বললেন, ‘‘কী ভাবে স্কুল চালাব, এখনও পর্যন্ত ঠিক করে উঠতে পারিনি। ৮ জন শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার কোনও নির্দেশিকাও আসেনি। তাই যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁরা স্কুলে এসেছেন।’’ প্রধান শিক্ষিকা জানালেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের সকলের সঙ্গেই ছাত্রী, সহ-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের সম্পর্ক ভালো। এই অবস্থায় সকলেই মর্মাহত।

স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ থাকবে কিনা মুশকিল। স্কুল সূত্রে জানা গেল, বাংলা, জীবনবিজ্ঞান বিষয়ে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস করান, এমন দু’জন শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। ইতিহাসেও ওই চারটি শ্রেণির ক্লাস করান, এমন দু’জন শিক্ষিকার চাকরি থাকছে না। নবম ও দশম শ্রেণির অঙ্কের শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। দর্শন বিষয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য চাকরি বাতিল হয়েছে একজন শিক্ষিকার। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে বর্তমানে দীর্ঘদিন থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, রসায়ন বিষয়ে শিক্ষিকা নেই। এখন সঙ্কট আরও বাড়ল। জীবন বিজ্ঞান, ইতিহাস কারা পড়াবেন, জানা নেই স্কুলের।

প্রধান শিক্ষিকা জানালেন, পদার্থবিদ্যা যিনি পড়ান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তিনিও অবসর নেবেন। জীবন বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য আলাদা করে কোনও শিক্ষিকা কেউ থাকলেন না। বিদিশা বলেন, ‘‘এই অবস্থায় সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের সিমেস্টার পরীক্ষা। কী করে যে সামাল দেব, বুঝতে পারছি না।’’ বিজ্ঞান বিভাগ আগামী দিনে স্কুলে থাকবে কি না, সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।

প্রধান শিক্ষিকা জানালেন, এত সীমিত সংখ্যক শিক্ষিকাকে নিয়ে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস চালানো মুশকিল। কারণ, যাঁরা আছেন, তাঁদের সকলকে সব দিন পাওয়া যাবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। বিদিশার কথায়, ‘‘কী ভাবে স্কুল চালাব, এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। আপাতত স্কুলে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার পরে ছাত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

nalhati SSC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy