নিপা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা ২০ দিন আগেই পৌঁছেছে বীরভূমে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই নির্দেশিকায় লেখা ছিল— ‘কেরল থেকে ফিরেছেন এমন কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাঁদের বিষয়টি অত্যন্ত যত্ন নিয়ে দেখতে হবে।’ সতর্ক ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলা থেকে ব্লক— প্রতিটি স্তরের হাসপাতালে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইদের আগে কপালে ভাঁজ পড়ল স্বাস্থ্যকর্তাদের। কারণ কর্মসূত্রে দক্ষিণ ভারতে থাকা শ্রমিকদের অনেকেই ইদে জেলায় নিজেদের বাড়িতে ফিরেছেন। তাঁদের কেউ কেউ এসেছেন কেরল থেকে। তাঁদের কারও শরীরে নিপা ভাইরাস রয়েছে কি না, তা দ্রুত চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে তৎপর স্বাস্থ্যকর্তারা।
জেলা ও মহকুমা হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করা হলেও, কেরল থেকে আসা কারও দেহে ওই ভাইরাস সংক্রমণ হয়ে থাকলে কী ভাবে তা চিহ্নিত করা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে স্বাস্থ্য দফতর। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, জেলার কোন ব্লক থেকে কত বাসিন্দা ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়েছেন, তার কোনও তথ্যও তাঁদের কাছে নেই।
কেরলে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাই ওই রাজ্য থেকে আসা লোকেদের নিয়েই স্বাস্থ্য দফতর বেশি চিন্তিত। পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনের তরফে জেলা পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানান, প্রতিটি থানায় মোতায়েন সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রামীণ পুলিশ এলাকার খবর রাখেন। দক্ষিণ ভারত, বিশেষত কেরল থেকে আসা কোনও শ্রমিক অসুস্থ হলে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেবেন তাঁরা।