রেশন ডিলারদের এতবছরের সংগঠন ভেঙে নতুন একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটল পুরুলিয়া জেলায়। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র পুরুলিয়া জেলা কমিটি থেকে বেশ কয়েকজন বেরিয়ে এসে ‘বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে’র জেলা সংগঠন শুরু করেছেন। সম্প্রতি তাঁরা হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে নিজেদের নতুন সংগঠনের কথা ঘোষণা করেন। নতুন সংগঠনের জেলা সম্পাদক হয়েছেন নিরঞ্জন মাহাতো, যিনি দীর্ঘদিন পুরনো সংগঠনের সম্পাদক পদে ছিলেন। নিরঞ্জনবাবু জানান, ১৭ জনকে নিয়ে ‘বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে’র পুরুলিয়া জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই তাঁদের ৪৫০-র বেশি সদস্য হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই সদস্য সংখ্যা আরও বাড়বে।
‘বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ রাজ্যে নতুন না হলেও এতদিন পুরুলিয়ায় তা ঢোকেনি। জেলায় এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশের মঞ্চসজ্জা থেকে আমন্ত্রণপত্র দেখে এবং খোদ খাদ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা প্রভৃতি দেখে অনেকে শাসকদলের ছত্রছায়ায় এই সংগঠন রয়েছে বলে মনে করছেন। যদিও তাঁদের সঙ্গে সরাসরি শাসকদলের যোগ থাকার কথা মানতে চাননি সংগঠনের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন মাহাতো। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্য সরকারের গণবন্টন ব্যবস্থা আমরা পরিচালনা করি। তাই সরকারের দৃষ্টিভঙ্গীকে সম্মান করি।’’
দীর্ঘ ১৯ বছর ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদকের পদে থাকার পরে গত জেলা সম্মেলনে জেলা সম্পাদকের পদ থেকে নিরঞ্জন মাহাতো অপসারিত হন। পুরনো সংগঠনের এক সদস্য বলেন, ‘‘উনি জেলা সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের বিষয়টি মানতে না পারায় এতদিনের পুরনো সংগঠন ভেঙে পৃথক এই সংগঠনটি জেলায় আনলেন।’’ যদিও নিরঞ্জনবাবুর দাবি, ‘‘ডিলাররা জানাচ্ছিলেন, তাঁদের সমস্যা মিটছে না। তাই নতুন এই সংগঠনের কথা ভাবনায় আসে।’’
যদিও ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি আহ্লাদচন্দ্র মাজির দাবি, ‘‘১০৮৪ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র কয়েকজন নতুন সংগঠনে গিয়েছেন। এতে আমাদের ক্ষতি হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy