গভীর রাতে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে নার্সকে মারধরের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। নার্সের অভিযোগ, ওই যুবক মদ্যপ ছিলেন। সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালের শুক্রবার রাতের ঘটনা।
ওই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েই। কর্মীদের ক্ষোভ, হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি রোগীদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। যখন খুশি এই হাসপাতালে ঢোকা বা বেরোনো যায়। অন্তর্বিভাগের একতলা ও দোতলায় ঢোকার মুখে একটি করে গেট আছে। কিন্তু কোনও নিরাপত্তা কর্মী নেই। ফলে ওই গেট থাকা না থাকা সমান। একতলায় মহিলা ও দোতলায় পুরুষদের চিকিৎসা হয়। শুক্রবার রাতে ঠিক কি হয়েছিল? হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অন্তর্বিভাগের নার্স রুমে ছিলেন ওই মহিলা। রাত দু’টো নাগাদ এক প্রসূতি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন। তখন দরজা খোলা হলে কোনও ভাবে ফাঁক গলে ওই যুবক অন্তর্বিভাগে ঢুকে পড়ে। তারপর সোজা গিয়ে নার্সদের রুমের দরজায় ধাক্কা মারেন। দরজা খুলতেই মদ্যপ যুবক তাঁকে ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ। শনিবার দুপুরে সাঁইথিয়ার বাড়িতে গেলে তাঁর ছেলে বলেন, ‘‘মা অসুস্থ, বিশ্রাম নিচ্ছেন। এখন কথা বলতে পারবেন না।’’ পরিবার সূত্রের খবর, ঘটনার আকষ্মিকতায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই মহিলা। এ দিন সকালেই তিনি বিএমওএইচকে গোটা ঘটনা জানিয়ে ছুটির আবেদন করেছেন। বিএমওএইচ আশিস চন্দ্র বলেন, ‘‘সকাল দশটা নাগাদ ওই নার্সের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশকে জানাই। এক আধিকারিক সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে আসেন।’’ তিনি জানান, নিগৃহীতার অভিযোগ পত্র পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককের নজরেও আনা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি।
এ দিকে, হাসপাতালের নিরাপত্তায় গলদের কথা মেনে নিয়েছেন বিএমওএইচ। পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার দুষ্কৃতী। একটি খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের মাহেশের স্নানপিঁড়ি মাঠের সামনে থেকে গাঁজা সমেত পঙ্কজ ধাড়া ওরফে পঙ্খী নামে এলাকার এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শনিবার আখড়াবাটি লেনে তার বাড়ি থেকে ২টি নাইন এমএম, একটি সেভেন এমএম পিস্তল মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy