প্রতীকী ছবি।
জল সমস্যা সেই অর্থে নেই। তবে কিছু এলাকার জলে ফ্লোরাইডের উপস্থিতি দেখা যায়। সেই কারণে জল ব্যবহার করা যেত না। তাই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে সিউড়ি ২ ব্লকের কোমা পঞ্চায়েত।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, কোমা পঞ্চায়েত এলাকায় ১৩টি গ্রাম আছে। সমস্ত গ্রামেই একাধিক নলকূপ রয়েছে। কিন্তু কিছু গ্রামের জলে ফ্লোরাইড পাওয়া যায়। তাছাড়া জলে আয়রনও বেশি মাত্রায় আছে। সেই কারণে জল ব্যবহার করতে পারতেন না গ্রামবাসীরা। তাই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রথমে পরিকল্পনা করা হয় যে গ্রামগুলিতে ফ্লোরাইডের সমস্যা রয়েছে কেবল সেই গ্রামগুলিতে ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে। পরে ওই পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত গ্রামেই পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেই মত চাতরা গ্রামে একটি জলাধার তৈরি করা হয়েছে।
কোমা পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি ২ ব্লকের পলশিটা গ্রামে বক্রেশ্বর নদীর থেকে পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে ওই জলাধারে আনা হবে। সেখান থেকে জল বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৩০০০ বাড়িতে ওই পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। এই পরিষেবা চালু হলে উপকার হবে বলে মত গ্রামবাসীদের। চাতরা গ্রামের বাসিন্দা অশ্বিনী বাগদি, খন্না গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘এলাকায় জলের সমস্যা নেই। অনেক নলকূপ থাকলেও অনেকগুলির জল ফ্লোরাইড মিশ্রিত। ওই নলকূপের জল ব্যবহার করতে পারি না। এই পরিষেবা চালু হলে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।’’ কোমা পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্না বাগদি বলেন, ‘‘দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy