জয়ী: নাতাশা। নিজস্ব চিত্র
অঙ্কে অনার্স পাশ করে কোনও চাকরি না পেলেও তিন মেয়ের পড়াশোনার কথা ভেবেই গ্রাম ছেড়েছিলেন নলহাটি থানার কুখুড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ। স্বপ্ন ছিল, পড়া শেষে চাকরি করে তারা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। নলহটির পাইকপাড়া এলাকার আশ্রমপাড়াতে ভাড়া বাড়িতেই প্রাইভেট টিউশন পড়ানো শুরু করেন তিনি। আজাদের স্বপ্ন দেখা মিথ্যে হয়নি। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে তাঁর মেয়ে নাতাশা বেগম। নলহাটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৫।
মাধ্যমিকে ওই স্কুল থেকেই নাতাশা ৬০৮ নম্বর পেয়ে স্কুলের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে বীরভূম জেলার মধ্যে প্রথম হতে পেরে খুশি সে ও তার পরিবার। নাতাশার প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯৩, ইংরেজি ৯৫, দর্শনে ৯৯, ভূগোল ৯৩ এবং কম্পিউটার সায়েন্সে ৯৫।
নাতাশার দিদি নলহাটি হীরালাল ভকত কলেজে ইংরাজি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করে। দিদির কাছে ইংরেজি বিষয়ে গাইড নেওয়া ছাড়া বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল ও দর্শন — এই চারটি বিশয়ে টিউশন ছিল নাতাশার। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অর্পণা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওর উত্তোরত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।’’
নাতাশার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘নিজে অঙ্ক অনার্স পাশ করে সরকারি চাকরি পাইনি। মেয়েরা যাতে নিজে সাবলম্বী হতে পারে তার জন্য বাড়ি ছেড়ে এসেছি। নলহাটিতেই ইংরেজি অনার্স নিয়ে মেয়েকে পড়াতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy