E-Paper

তৃণমূলের পাল্টা সভায় পার্থের নিশানায় শুভেন্দুই

নওশাদ সিদ্দিকির আন্দোলন ও রামনবমীকে কেন্দ্রে করে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় গণ্ডগোলের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন পার্থ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:১৮
Partha Bhowmick.

মুরারইয়ে তৃণমূলের সভায় বক্তৃতা করছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

রবিবার মুরারইয়ের কেস্তারা গ্রামের মাঠে সভায় গরুপাচার মামলায় তিহাড়ে জেলবন্দি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তীব্র কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘কোথায় কেষ্ট মণ্ডল? বীরভূমের বীর কোথায়? কেষ্টবাবু কোথায় এখন? চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ, নকুলদানা, উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে, মনোনয়ন জমা দিতে দেব না, গুড় বাতাসা খাওয়াব বলা কেষ্ট মণ্ডল কোথায়?’’ মঙ্গলবার মুরারই পশুর হাটে পাল্টা সভায় শুভেন্দুকে ‘চুনোপুঁটি’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

পার্থ ছাড়াও এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, কাজল শেখ, অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় মুখোপাধ্যায়, জেলার অবর্জ়াভার তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ।

সভার শুরু থেকেই শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতারা। বিনয় ঘোষ থেকে শুরু করে সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মলয় মুখোপাধ্যায়েরা শুভেন্দুকে ‘গদ্দার’, ‘মীরজাফর’, ‘সুবিধাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেন।

সভার একে বারে শেষ সময়ে এসে পৌঁছন সেচমন্ত্রী। তখন অবশ্য মাঠ অনেকটাই খালি হয়ে গিয়েছিল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন পার্থ। তিনি বলেন, ‘‘এই গরমে বিজেপি নেতারা পাগলের প্রলাপ বকছেন।’’ এর পরেই শুভেন্দুর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘‘দু’দিন আগে মুরারইয়ে এক বিজেপি নেতা এসেছিলেন। উনি পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র যে কথা বলেন, সে কথাই এখানেও বলে গিয়েছেন। আমাদের নেতাদের নাম করবেন আর জেলে ঢুকিয়ে দেবেন। জেলের ভাত খাওয়াবেন। আর কোনও বক্তব্য নেই।’’

এর পরেই নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের গণতন্ত্রের দুরবস্থাটা কোন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাংলার এক জন চুনোপুঁটি নেতাও ইডি, সিবিআইকে চালনা করছেন।’’ এতে ইডি, সিবিআইয়েও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে পার্থের দাবি।

নওশাদ সিদ্দিকির আন্দোলন ও রামনবমীকে কেন্দ্রে করে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় গণ্ডগোলের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন পার্থ। পাশাপাশি, একশো দিনের কাজের টাকা যাঁরা পাবেন বুথে বুথে তাঁদের নাম লিখে একত্রিত ভাবে আন্দোলনের ডাক দেন সেচমন্ত্রী।

শুভেন্দুকে আক্রমণের পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথাও কয়েক জনের ভাষণে উঠে আসে। শতাব্দী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় সুনিশ্চিত। কোন, কোন নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকতেই পারে। তা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতি ক্ষোভ রাখবেন না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Partha Bhowmik Suvendu Adhikari

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy