মঙ্গল বার সিউড়ির প্রশাসন ভবনে অবস্থান বিক্ষোভ সিউড়ির বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুত প্রকল্পের ভূমিহারাদের। নিজস্ব চিত্র।
বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি দিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে এখনও প্রায় ৩০০ জন চাকরি পাননি। ডেউচা-পাঁচামিতে কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য জমিদাতারা চাকরি পেলেও একই জেলায় থেকে কেন তাঁরা পাচ্ছেন না, এই প্রশ্ন তুলে ফের অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন বক্রেশ্বরের জমিদাতারা।
মঙ্গলবার দুপুরে সিউড়িতে জেলা প্রশাসন ভবনে জেলাশাসকের কাছে গণ-স্মারকলিপি দিতে আসেন কয়েকশো জমিদাতা। বেশ কিছুক্ষণ কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভের পরে, কার্যালয়ের দরজা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জমিদাতাদের প্রশাসনিক কার্যালয়ে ঢোকা আটকায়। ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ফিরে যান তাঁরা। এর আগেও একাধিকবার চাকরির দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছেন ওই জমিদাতারা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ১৯৯৫ সাল নাগাদ তাঁরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি দিয়েছিলেন। এরপর একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে তাঁদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। জমিদাতাদের একাংশ এ দিন বলেন, ‘‘ডেউচা পাঁচামি কয়লাখনি এলাকায় জমিদাতারা প্রায় সকলেই চাকরি পাচ্ছেন। কিন্তু, কয়েক দশক আগে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েও আমরা নিয়োগ পাচ্ছি না।’’
জমিদাতা বিপ্লব দাস বৈষ্ণব, মণিমালা মণ্ডলেরা দাবি করেন, কিছু সময় আগে তাঁদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ (স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং) দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এর পরে তাঁরা চাকরি পাবেন বলে মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যক্ষেত্রে কিছু হয়নি। বিপ্লবেরা বলেন, “প্রশাসনের কাছে গত কয়েক দশক ধরে আমরা লাগাতার আবেদন করে চলেছি। কিন্তু, তারা আমাদের কোনও কথাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ রকম চলতে থাকলে আগামী দিনে আমরা লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের পথে যেতে বাধ্য হব।”
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমিদাতাদের অনেকেই ভূমিহারা কোটায় নানা দফতরে চাকরি করছেন। বাকিদের চাকরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। জেলা ভূমি অধিগ্রহণ বিভাগের অধীনে আছে বিষয়টি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy