Advertisement
E-Paper

শুয়োর কার, নাকাল পুলিশ

শেষমেশ শুয়োরটিকে তুলে দেওয়া হল ‘প্রকৃত মালিকের’ হাতে! কিন্তু, যতটা সহজ ভাবে বলা গেল, ততটা সহজ ভাবে নয়। প্রকৃত মালিকের খোঁজ করতে গিয়ে বিডিও, ওসি, প্রাণী চিকিৎসক—সকলের কী কালঘামই না ছুটল। আর হবে নাই বা কেন, শুয়োরটির ওজন কম নয়। হৃষ্টপুষ্টও বটে। প্রাণী চিকিৎসক জানালেন, শুয়োরটির ওজন কম করেও ১ কুইন্ট্যাল ৪০ কেজি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬ ০৭:৪১

শেষমেশ শুয়োরটিকে তুলে দেওয়া হল ‘প্রকৃত মালিকের’ হাতে!

কিন্তু, যতটা সহজ ভাবে বলা গেল, ততটা সহজ ভাবে নয়। প্রকৃত মালিকের খোঁজ করতে গিয়ে বিডিও, ওসি, প্রাণী চিকিৎসক—সকলের কী কালঘামই না ছুটল। আর হবে নাই বা কেন, শুয়োরটির ওজন কম নয়। হৃষ্টপুষ্টও বটে। প্রাণী চিকিৎসক জানালেন, শুয়োরটির ওজন কম করেও ১ কুইন্ট্যাল ৪০ কেজি। আর এক পুলিশ কর্তা খোঁজ নিয়ে জানালেন, ওই ওজনের নধর শুয়োরের দাম কম করেও পঁচিশ হাজার টাকা!

অমন শুয়োর ‘চুরি’ গেলে কার মাথার ঠিক থাকে?

মাসখানেক আগে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের কেন্দাপাড়া গ্রামের সোম বাস্কের একটি শুয়োর চরতে বেরিয়ে আর ফেরেনি। আশাপাশে দিনভর ঢুঁ মেরেও পোষা শুয়োরের খোঁজ পাননি সোম। হতোদ্যম হয়ে পড়ছিলেন, এমন সময় খোঁজ পান পাশের গ্রাম যমুনাগোড়ার চুনিরাম বেসরার বাড়িতে ওই শুয়োর দেখা গিয়েছে। মুহূর্তে ছুটে গিয়েছিলেন সেখানে। হ্যাঁ, খবরটা ঠিক। ওই তো, ওই তো বাঁধা রয়েছে শুয়োরটা।

সে আনন্দ স্থায়ী হয়নি। চুনিরামও দাবি করে বসলেন শুয়োরের সত্ত্ব। এ দিকে, সোমও নাছোড়! আবেদন নিবেদনে কাজ না হতে পুলিশের দ্বারস্থ হন সোম। মীমাংসা করতে কালঘাম ছোটে পুলিশেরও। এই অবস্থায় মঙ্গলবার ব্লক অফিস লাগোয়া প্রাণী বিকাশ দফতরে নিয়ে আসা হয় শুয়োরটিকে।

বিবাদমান দু’পক্ষকে দীর্ঘ সময় নানা প্রশ্ন করেন প্রাণী চিকিৎসক, পুলিশ কর্তারা। তারপর ঘোষণা হয় ‘রায়’। প্রাণী চিকিৎসক সুকান্ত সাহা জানান, শুয়োরটির প্রকৃত মালিক সোম। তা হলে চুনিরাম কীসের ভিত্তিতে দাবি করছিলেন যে শুয়োর আসলে তাঁর?

— কিন্তু, কোথায় চুনিরাম!

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মীর কথায়, ‘‘মামলা বিপক্ষে গিয়েছে দেখেই কখন সুযোগ বুঝে কেটে পড়েছিল চুনিরাম।’’

তারপরেই নিঃসংশয় হয়ে শুয়োরটিকে তুলে দেওয়া হল প্রকৃত মালিকের হাতে!

কিশোরের দেহ। বাড়ি থেকে কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম সচিন বাউরি (১৮)। তাঁর বাড়ি পাড়া থানার কিনিমাধব গ্রামে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোর। ভিন্‌ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফেরে সচিন। মৃতের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, বাড়ি ফেরার পর থেকেই থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই কিশোর। সোমবার দুপুরে বাড়ির মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া তাঁর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। মঙ্গলবার পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।

Pig Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy